পাঞ্জশির ঘিরে ফেলেছে তালেবান
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:৪৬:৩৩
তালেবান জানিয়েছে, তারা পাঞ্জশিরের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ঘিরে ফেলেছে। তারা তাদেরকে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে।
আফগানিস্তানে কেবল পাঞ্জশির ছাড়া পুরো দেশ এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। পাঞ্জশিরে সাবেক মুজাহিদ নেতা আহমদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমদ মাসুদ প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, তিনি আত্মসমর্পণ করবেন না।
পার্বত্যপূর্ণ পাঞ্জশিরের আফগানদের উদ্দেশে এক রেকর্ড করা বার্তায় তালেবানের সিনিয়র নেতা আমির খান মোতাকি অস্ত্র সমর্পণ করার জন্য বিদ্রোহীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আফগানিস্তান ইসলামি আমিরাত সব আফগানের আবাসভূমি।
এদিকে পাঞ্জশিরের পাশের প্রদেশ বাঘলানে তালেবান ও স্থানীয় মিলিশিয়া বাহিনীর মধ্য লড়াই চলছে বলে জানা গেছে।
সূত্র : আল জাজিরা
আমেরিকানদের ফেরাতে তালেবানের সাথে গোপন সমঝোতা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
আমেরিকানদের ফিরিয়ে আনতে তালেবানের সাথে গোপন সমঝোতা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর জের ধরে তালেবান সদস্যরা আমেরিকানদের গোপনপথে কাবুল বিমানবন্দরে নিয়ে এসেছিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনসহ কয়েকটি পত্রিকায় এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এক মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, আমেরিকানদের সরিয়ে নিত যুক্তরাষ্ট্র কাবুল বিমানবন্দরে একটি ‘গোপন ফটক’ ও ‘কল সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেছিল।
অপর এক কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, তালেবানের সাথে এই সমঝোতা ‘চমৎকারভাবে কাজ’ করে।
আমেরিকান দুই প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, আমেরিকানদের বিমানবন্দরে প্রবেশের আগে ‘জড়ো হওয়ার কেন্দ্রগুলোতে’ নিয়ে আসা হয়। এই কাজেই তালেবান সহযোগিতা করে। বিমানবন্দরের কাছাকাছি প্রতিষ্ঠিত ওই কেন্দ্রগুলোতেই মার্কিন কর্মকর্তারা জড়ো হওয়া আমেরিকানদের পরিচয় যাচাই করে এবং পালানোর জন্য বিমানবন্দরে জড়ো হওয়া বিপুলসংখ্যক আফগানকে এড়িয়ে গোপন পথে বিমানবন্দরের ভেতরে নিয়ে যায়।
পালাতে আগ্রহী আমেরিকানরা ও আমেরিকান পাসপোর্টধারী অনেকে যখন শুনেছিল যে তাদেরকে তালেবান পাহারা দিয়ে বিমানবন্দরে নিয়ে যাবে, তখন তা তারা বিশ্বাসই করতে পারেনি। কিন্তু তালেবানের সহযোগিতায় তারা নিরাপদে বিমানবন্দরে চলে আসে।
এক কর্মকর্তা বলেন, কোনো কোনো দিন তালেবান কয়েকবার করেও আমেরিকানদের বিমানবন্দরে নিয়ে আসে। আমেরিকানদের জড়ো করার একটি কেন্দ্র ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ভবন। এটি ছিল বিমানবন্দরের সামান্য দূরে।
জুলাই থেকে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে অন্তত এক লাখ ২২ হাজার লোককে বিমানে করে সরিয়ে নেয়া হয়। আর সরিয়ে নেয়া আমেরিকানের সংখ্যা ছয় হাজারের বেশি।