কক্সবাজার যাচ্ছেন, সাবধান এই সাপ থেকে!
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ আগস্ট ২০২১, ২:০৪:৩৭
লকডাউন উঠে যাওয়ার পর খুলে দেওয়া হয়েছে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোও। দীর্ঘদিন ঘরে বন্দী থাকা নগরবাসীও ছুটছেন সমুদ্রের পানে। তবে, তাদের সাবধান হতে হবে সাপ থেকে।
সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের বিভিন্ন প্রাণ ও পরিবেশবাদি পেজের পক্ষ থেকে এ সময়ে কক্সবাজারে বিষধর সাপ থেকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
তারা জানায়, লকডাউন না থাকায় এবং পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ায় অনেকে পরিবার নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে যাচ্ছেন। তবে রাতের বেলা বিচে চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন। আমাদের দেশের স্থলভাগে প্রায় ৩৩-৩৫ ধরনের সাপ আছে এবং ৪-৫ রকম সামুদ্রিক সাপ আছে। স্থলভাগের সাপদের মধ্যে ৪-৫ রকম সাপ তীব্র বিষধর এবং সামুদ্রিক সব সাপই তীব্র বিষধর। তবে আমাদের দেশে স্থলভাগের সাপদের এন্টিভেনম থাকলেও (লাল গলা ঢোঁড়া বাদে, এদের এন্টিভেনম শুধু জাপানেই আছে। আর এরা কয়েকবার কামড় দেওয়া ছাড়া বিষ প্রয়োগ করতে পারে না) সামুদ্রিক কোনো সাপের এন্টিভেনম নাই।
তারা আরো জানায়, আমাদের দেশে সামুদ্রিক সাপের কামড়ের রেকর্ড খুবই কম, কারণ এরা মানুষের কোলাহল থেকে দূরে গভীর সমুদ্রে থাকতে পছন্দ করে। কিন্তু দীর্ঘদিন পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় সামুদ্রিক সাপগুলো কক্সবাজারের বিচে চলে আসে। গত কয়েকদিনে অনেকগুলো ছবি পোস্ট হয় সাপ রেস্কিউ গ্রুপে। তাই সবাই সতর্কতার সঙ্গে বিচে চলাচল করবেন।
ফেইসবুকে এসব পেজে একটি সাপের ছবিও প্রচার করা হচ্ছে। আর এর পরিচয় হিসেবে লেখা হচ্ছে, Hook nosed sea snake বা বড়শী নাক সামুদ্রিক সাপ। বাংলাদেশের সমুদ্রে বসবাসকারী সাপের মধ্যে অন্যতম বিষধর সাপ এটি। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন বাংলাদেশের জলভাগে বসবাসকারি সাপের মধ্যে এ সাপ সবচেয়ে বিষাক্ত। এ সাপ অন্যান্য সামুদ্রিক সাপের মতো তত শান্ত স্বভাবের নয় বরং কিছুটা ক্ষেপাটে স্বভাবের হয়ে থাকে। পৃথিবীতে যত সামুদ্রিক সাপের কামড়ের রেকর্ড আছে তার ৫০% কামড় এ সাপের দ্বারাই হয়েছে।
তারা জানায়, এক কামড়ে এরা ১.৫ মিলিগ্রাম হাইলি নিউরো টক্সিন বিষ প্রয়োগ করে, এদের কামড়ে মৃত্যুর হার ১০০%, কারণ এদের বিষের কোনো এন্টিভেনম নেই। বাংলাদেশের প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনস ও কক্সবাজারসহ সমুদ্রের বিভিন্ন জায়গায় এদের পাওয়া যায়। মানুষের সঙ্গে সাধারণত এদের খুব একটা সাক্ষাৎ হয় না, কারণ বেশিরভাগ সময় এরা গভীর সমুদ্রে অবস্থান করে।
ছবি ও তথ্য সংগৃহীত।