দেশে করোনায় আজ ১২০ জনের মৃত্যু
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ আগস্ট ২০২১, ৬:৫৭:৫২
কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৫৩২তম দিনে দেশে ১২০ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ১৪৩ জন।
এর আগে গত জুলাই মাসের ৩ তারিখে ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে আজকের মৃত্যুর সংখ্যাই সর্বনিম্ন। অন্যদিকে ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়।
আজ শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৯৯৩ জন রোগী। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২৩ হাজার ৮৮২টি নমুনা পরীক্ষায় তিন হাজার ৯৯১ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭১ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯১ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৬৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২২ লাখ ৩৫ হাজার ৩৬৯টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৬ লাখ ১৭ হাজার ৮২৮টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ১৯৪ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় সাত হাজার ৬৬৬ জনসহ মোট ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ৪২১ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৩ দশমিক ০২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১২০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৬৯ জন পুরুষ ও ৫১ জন নারী। তাদের মধ্যে ১১৯ জনের হাসপাতালে (সরকারিতে ৯৭ জন, বেসরকারিতে ২২ জন) ও বাড়িতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৫ হাজার ১৪৩ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৩ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২১ হাজার ৪৬৫ জন, যার শতকরা হার ৮৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন দুই হাজার ৯৩৪ জন, যার শতকরা হার ১১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। বাসায় ৭২১ জন মারা গিয়েছেন, যার শতকরা হার দুই দশমিক ৮৭। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ৩৩ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৪৬৫ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং আট হাজার ৬৭৮ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৪ দশমিক ৫১ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১২০ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশ বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব চারজন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২৪ জন, ষাটোর্ধ্ব ৫০ জন, সত্তরোর্ধ্ব ২৪ জন, আশি উর্ধ্ব একজন ও নব্বই উর্ধ্ব দু’জন।
আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৪০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৭ জন, রাজশাহী বিভাগে নয়জন, খুলনা বিভাগে ১৫ জন, বরিশাল বিভাগে তিনজন, সিলেট বিভাগে ১৩ জন, রংপুর বিভাগে সাতজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ছয়জন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ২১ কোটি ১৭ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪৪ লাখ ৩১ হাজার মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৮ কোটি ৯৪ লাখের বেশি।