বাংলাদেশ থেকে আম নিতে চায় রাশিয়া
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ আগস্ট ২০২১, ৭:৫৩:০৬
বাংলাদেশ থেকে আম নেয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে রাশিয়া। অন্যদিকে রাশিয়া থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ডিএপি ও পটাশিয়াম সার আনতে চায় বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে রাশিয়ার সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি. মান্টিটস্কি সাক্ষাৎকালে এ নিয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, সদস্য পরিচালক (সার ব্যবস্থাপনা) ড. এ কে এম মুনিরুল হক, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শরীফা আহমেদ, ঢাকার রাশান দূতাবাসের অ্যাটাচে খানুভা আমাতুলা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে কৃষকদের ডিএপি সার ব্যবহারের জন্য উৎসাহী করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার চার দফা সারের দাম কমিয়েছে। ডিএপির দাম ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে কেজিপ্রতি ১৬ টাকা করেছে। এর ফলে ডিএপি সারের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা রাশিয়া থেকে ডিএপি ও পটাশিয়াম আমদানি করতে চাই এবং এ ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করতে চাই।
২০১৩ সালে রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ জিটুজি ভিত্তিতে এমওপি সার আমদানি শুরু করে। এ ব্যাপারে দু’দেশের মধ্যে একটি এমওইউ বিদ্যমান রয়েছে।
এ ছাড়া কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে রাশিয়াকে আলু আমদানির বিষয়টি পুনঃবিবেচনার অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য, আলুতে ব্রাউনরট রোগের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে আলু রপ্তানিতে রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। রাষ্ট্রদূত আলু আমদানির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি. মান্টিটস্কি বলেন, বাংলাদেশের আম অত্যন্ত সুস্বাদু ও উন্নত মানের। রাশিয়াতে এ আম রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আম নিতে রাশিয়ার আগ্রহ রয়েছে।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানেও রাশিয়া প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি. মান্টিটস্কি।