ঢাকায় আসছে ৫-জি
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ আগস্ট ২০২১, ১২:৪৯:২১
ঢাকার প্রায় দুইশ’টি স্থানে ফাইভ-জি মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা চালু হচ্ছে। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকের পর পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত ও অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন আল রশীদ এ তথ্য জানান।
একনেকে অনুমোদিত ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ‘গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ৫-জি সেবা প্রদানে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন’ প্রকল্প বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
কীভাবে ৫-জি হবে?
মামুন আল রশীদ বলেন, প্রকল্পের নাম দেখে কারও মনে হতে পারে এই প্রকল্প শেষ হলেই ৫-জি সেবা চালু হবে। বিষয়টি তা নয়। বিদ্যমান ২-জি, ৩-জি ও ৪-জি’র যে অবকাঠামো আছে সেটার মধ্যে কাজ করা হবে। ৫-জিতে যাওয়ার যে টার্গেট আছে সেটার প্রস্তুতি হিসেবে এ প্রকল্পে আমরা কিছু যন্ত্রপাতি স্থাপন করবো।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকার দুইশ’ স্থানে ফাইভ-জি হবে। এজন্য ভিন্ন একটি প্রকল্পের প্রস্তাব পেয়েছি। ৬ আগস্ট প্রকল্প প্রস্তাবনা আমাদের কাছে এসেছে। আমরা সেটা যাচাই করছি। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ঢাকায় এ সেবা চালু হবে।
শুরুতে ঢাকার কোন কোন এলাকায় ৫-জি চালু হবে সেই বিষয়ে কমিশন সদস্য বিস্তারিত জানাননি।
এ সময় টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ২০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এরমধ্যে সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৬০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং বাকি দুই হাজার ২০৪ টাকা রাজস্ব খাত থেকে ব্যয় হবে।
প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়ে।
টেলিটক বারবার লোকসান দেওয়ার পরও সরকার কেন ভর্তুকি দিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, রাষ্ট্রের কল্যাণ বিবেচনায় সরকারকে অনেক লোকসানি প্রতিষ্ঠানও চালাতে হয়। সরকার ব্যক্তি খাতকে সুযোগ সুবিধা দিলেও একেবারে সব ছেড়ে দিতে চায় না। প্রয়োজনে যাতে দরকষাকষির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সে জন্য সরকারের হাতে কিছু থাকতে হয়। বিআরটিসির বাসও পরিচালনা করা হচ্ছে এ কারণে।