আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে, মিডিয়া তাকিয়ে দেখছে: পরীমণি
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ আগস্ট ২০২১, ৬:১৯:৫৫
মাদক মামলায় ফের দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ শুনে আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়ে ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমণি অভিযোগ করেছেন তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।
তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে, আপনারা মিডিয়া কী করছেন? সব তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন।”
চার দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মুখ্য মহানগর দায়রা আদালতে তোলা হয় পরীমনিকে। এ সময় তাকে আরও পাঁচ দিন রিমান্ডে পেতে আবেদন করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে পরীমনিকে দুই দিনের রিমান্ড আদেশ দেন হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস। মামলায় পরীমনির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মশিউর রহমান, নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীসহ বেশ কয়েকজন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মুখ্য মহানগর দায়রা আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু।
রিমান্ড শুনানিকালেও পরীমনিকে কাঁদতে দেখা যায়। আদেশ শোনার পর আদালত কক্ষেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরীমনি। এরপর আদালত কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় মাস্ক খুলে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি এ অভিযোগ করেন।
পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেন, একজন নায়িকা ১২২ ঘণ্টা এক পোশাকে রয়েছেন। তিনি তো একজন নায়িকা। তার তো একটা লাইফস্টাইল রয়েছে।
জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু বলেন, পরীমনি কাপড় চেঞ্জ না করা একটা রাজনীতি। এখানে সবাই কাপড় চেঞ্জ করেছেন। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে কাপড় চেঞ্জ করেননি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা বলেন, তাকে কাপড় দেয়া হয়েছে। সে এখানে আসার আগে এ কাপড় পরেছেন। এর আগে সে অন্য কাপড় (টি-শার্ট) পরেছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে আদালতে হাজির করা হলে বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের হওয়া মামলায় পরীমনি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদ। রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার আবারও তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
গত ৪ আগস্ট পরীমনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তার অভিযানে পরীমনির বনানীর বাড়ি থেকে বিদেশি মদ পাওয়া গেছে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এরপর র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন।
একই আদালত চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ ও তার সহযোগী সবুজ আলীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুই মামলায় ছয় দিনের রিমান্ড দেন।
আদালত তাদের মাদক মামলায় দুই দিন ও পর্নগ্রাফির মামলায় চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মাদক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মো. গিয়াস উদ্দিন রাজ ও সবুজ আলীর পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন। অন্যদিকে পর্নগ্রাফি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপর্দশক সোহেল রানা রাজ ও সবুজের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।