পর্দা কাঁপানো একা’র ঠিকানা এখন কাশিমপুর
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ আগস্ট ২০২১, ৯:০৪:৫৩
নামের পাশে সুপারহিট সিনেমা আছে একাধিক। মান্না থেকে শাকিব খান যুগের প্রথম সারিতে থাকা সব অভিনেতার বিপরীতে কাজের অভিজ্ঞতা আছে অভিনেত্রী সিমন হাসান একা’র। সম্প্রতি গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তিনি।
আজ রোববার বিকেলে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম মোহাম্মদ জসিম পৃথক দুই মামলায় রিমান্ড ও জামিন আবেদন নাকচ করে একাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে এখন তার ঠিকানা কাশিমপুর কারাগারের নারী ওয়ার্ড।
অন্যায় করলে শাস্তি পেতে হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তিনি আসলেই অন্যায় করেছেন কিনা সেটা প্রমানের আগে তাকে গ্রেফতারের পর দীর্ঘদিনের কর্মস্থল বিএফডিসি কেন্দ্রীক কোনো সংগঠন এ ব্যপারে কোনো বিবৃতি দেয়নি। পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি কেউ এ ব্যপারে কোনো কথাও বলেননি। বিষয়টি নিয়ে শিল্পী সমিতিতে যোগাযোগ করা হলে কেউেই মন্তব্য করতে রাজি হয়ননি।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফয়সাল আদালতে হাজির করেন অভিনেত্রী একাকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিন করে দুই মামলায় ছয় দিনের রিমান্ড আবেদন জানায় পুলিশ।
আসামির পক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন জানিয়ে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, ‘এখানে বঁটির কথা বলা হয়েছে, কিন্তু আসামির বাসায় কোনো বঁটি নাই। তিনি চাকু দিয়ে কাটাকাটি করেন।
‘তিনি অসুস্থ, তিন মাস আগে তার একটি অপারেশন হয়েছে। আসামি শয্যাশায়ী, সেখান থেকেই তাকে নিয়ে আসা হয়েছে। তার মেডিক্যাল সার্টিফিকেট আছে।’
আইনজীবী আরো বলেন, ‘মাদক মামলাটি একটি মেকিং মামলা, এটা সুস্পষ্ট। কারণ ওই রুমের চাবি কাজের মেয়ে হাজেরার কাছে থাকে।’
রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল। তিনি বলেন, ‘মামলার আসামি সিমন হাসান একা বাদিনীকে দুই মাসের বকেয়া বেতন বাবদ ছয় হাজার টাকা না দিয়ে বঁটি দিয়ে মাথায় কোপ মেরেছেন। এ ছাড়া তার বাসা থেকে মাদক উদ্ধার হয়েছে। তিনি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।’
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আসামি একাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে গত ৩১ জুলাই অভিনেত্রী সিমন হাসান একাকে আটক করে পুলিশ। ৪২ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর বাসা থেকে উদ্ধার হয়েছে ইয়াবা এবং মদ।
তোজাম্মেল হক বকুল পরিচালিত ‘রঙিন রাখাল রাজা’ সিনেমার মাধ্যমে ঢাকাই সিনেমায় অভিষেক ঘটে একার। ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ধর’ ও ‘তেজি’ সিনেমায় অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পান। ছবি দুটিতে মান্না ছিলেন তার নায়ক। পরে রুবেল, আমিন খান, আলেকজান্ডার বো, অমিত হাসান ও শাকিব খানের সঙ্গে জুটি হয়ে অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি।
সবশেষ ২০০৮ সালে একাকে ‘বাহাদুর সন্তান’ সিনেমায় দেখা গেছে। দীর্ঘদিন ছিলেন দেশের বাইরে। তিনি ৩০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।