মিনু আক্তারকে জেল খাটানো সেই কুলসুমী গ্রেপ্তার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ জুলাই ২০২১, ১০:১৫:১৬
খুনের মামলায় যার পরিবর্তে মিনু আক্তার জেল খেটেছিলেন সেই কুলসুমা আক্তার কুলসুমীকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) ভোরে নগরীর ইপিজেড থানাধীন ২ নম্বর মাইলের মাথা থেকে কুলসুমী আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। কুলসুমীকে সহযোগিতা করায় মর্জিনা নামে আরো এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, কুলসুমী অবস্থান পরিবর্তন করে বিভিন্ন জায়গায় থাকত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কুলসুমী ও মর্জিনাসহ আরো কয়েকজনের সহযোগিতায় মিনু আক্তারকে কুলসুমী সাজিয়ে হাজতবাস করানোর অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
প্রসঙ্গত, মোবাইল ফোন নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ২০০৬ সালের ৯ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার রহমতগঞ্জ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় পোশাককর্মী কোহিনুর বেগমকে হত্যা করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর এ মামলার রায়ে কুলসুমা আক্তার ওরফে কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। প্রকৃত আসামি কুলসুমা আক্তার মামলার সাজা হওয়ার আগে ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কারাগারে ছিলেন। সাজা হওয়ার পর ২০১৮ সালের ১২ জুন কুলসুমা সেজে মিনু আক্তার তিন সন্তানের ভরণ-পোষণের আশ্বাসে কারাগারে আসেন।
এ ঘটনা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর আইনজীবী শিশির মনির আপিল সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন। গত ৭ জুন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ মিনু আক্তারকে মুক্তির আদেশ দেয়। এর প্রেক্ষিতে গত ১৬ জুন মুক্তি পান মিনু। মিনুর ছোট মেয়ে জান্নাতুল গত মে মাসে মারা যান। জেল থেকে বের হওয়ার পর মেয়ের মৃত্যুর খবর তাকে দেওয়া হয়।
মুক্তির ১৩ দিনের মাথায় গত ২৮ জুন গভীর রাতে নগরীর বায়েজিদ লিংক রোডে ‘ট্রাকচাপায়’ মিনু মারা যান বলে জানায় পুলিশ। পরদিন বেওয়ারিশ হিসেবে তার লাশ দাফন করে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম।