দেশে আবারও করোনা শনাক্তের রেকর্ড, মৃত্যু ১৯৯
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ জুলাই ২০২১, ৬:৪৮:২১
কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৪৮৮তম দিনে দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৯৯ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭৯২ জন। এই সময়ে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৬৫১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার দেশে সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল ১১ হাজার ৫২৫ জন। গতকাল সর্বোচ্চ ২০১ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৩৬ হাজার ৮৫০টি নমুনা পরীক্ষায় ১১ হাজার ৬৫১ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৫০ লাখ ২১ হাজার ২২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৪৬১টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার ৬৮২টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন নয় লাখ ৮৯ হাজার ২১৯ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার ৮৪৪ জনসহ মোট আট লাখ ৫৬ হাজার ৩৪৬ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৯৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ১৩৩ জন পুরুষ ও ৬৬ জন নারী। তাদের মধ্যে ১৮৭ জনের হাসপাতালে (সরকারীতে ১৪৫ জন, বেসরকারীতে ৪২ জন) ও বাড়িতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ১৫ হাজার ৭৯২। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬০ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ১৩৫ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭০ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং চার হাজার ৬৫৭ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৯৯ জনের মধ্যে এগারো থেকে বিশ বয়সী দুইজন, একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী নয়জন, ত্রিশোর্ধ্ব ছয়জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২৮ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৭ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১০৭ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৬৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৫ জন, খুলনা বিভাগে ৫৫ জন, বরিশাল বিভাগে তিনজন, সিলেট বিভাগে পাঁচজন, রংপুর বিভাগে নয়জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৮ কোটি ৫৯ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪০ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৭ কোটি এক লাখের বেশি।