দেশে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫৪ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৮৮৩
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জুন ২০২১, ৭:৫২:৪২
দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৪৬৮ তম দিনে শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৫৪ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৩৯৯ জনে।
করোনায় গত এপ্রিল মাসের ১৯ তারিখ সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যু হয়। গতকাল ৬৩ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২০ হাজার ৮৮২টি নমুনা পরীক্ষায় তিন হাজার ৮৮৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৪৫ লাখ ৮৯ হাজার ৭৪০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ৭৯৯টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৬২ লাখ ৮৮ হাজার ৫৩৯টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন আট লাখ ৪৪ হাজার ৯৭০ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৯৫৫ জনসহ মোট সাত লাখ ৭৮ হাজার ৪২১ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ১২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৫৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৩৫ জন পুরুষ ও ১৯ জন নারী। তাদের মধ্যে ৫২ জনের হাসপাতালে (সরকারীতে ৫১ জন, বেসরকারীতে এক জন) ও বাড়িতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ১৩ হাজার ৩৯৯। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত নয় হাজার ৬২৩ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭১ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং তিন হাজার ৭৭৬ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৮ দশমিক ১৮ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৫৪ জনের মধ্যে একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব পাঁচজন, চল্লিশোর্ধ্ব সাতজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৫ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ২৬ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ১২ জন, খুলনা বিভাগে আটজন, বরিশাল বিভাগে চারজন, সিলেট বিভাগে দু’জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৭ কোটি ৮২ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৮ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৬ কোটি ২৭ লাখের বেশি।