মূল ঘটনা ধামাচাপা দিতে ক্লাব ভাঙচুরের অভিযোগ : পরী মণি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জুন ২০২১, ২:৫২:৫৩
ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে নিপীড়নের ঘটনা ধামাচাপা দিতে গুলশানের ক্লাব অল কমিউনিটি সেন্টারে ভাঙচুরের অভিযোগ সামনে আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন পরী মণি।
ঢাকা বোট ক্লাবের ঘটনার আগের দিন ৭ জুন মধ্যরাতে গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবে পরীমনি ‘গ্লাস ও অ্যাসট্রে ভেঙেছেন’ বলে অভিযোগ করেন ক্লাবের সভাপতি কে এম আলমগীর ইকবাল।
বুধবার রাতে বনানীর বাসায় এ বিষয়ে সাংবাদিকদের পরী মণি বলেন, ‘এতদিন সবাই চুপ ছিল। এতদিন পর আমি যখন অভিযোগ করলাম, বিষয়টা সবার সামনে আনলাম, তখন কেন সবাই আমার পেছনে লাগছে বলেন। এতদিন পরে। এটা তো স্পষ্ট বোঝাই যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এতদিক থেকে এত চাপ, আমি সত্যি টায়ার্ড এবার। তারা অ্যারেস্ট হয়েছে, সুবিচারের জন্য আমার পক্ষে কে লড়বে না লড়বে সেটাই এখনও ঠিক করে উঠতে পারছি না। সেখানে আমাকে উল্টো ব্লেম করা হচ্ছে নানা দিক থেকে। সেটা আসলে ভিত্তিহীন। চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।’
পরী ‘এতদিন পর’ বিষয়টিকে সামনে আনার ‘উদ্দেশ্য’ নিয়ে প্রশ্ন রাখেন।
তিনি বলেন, ‘সত্যি তো সত্যি। একদিন পরে হোক দুই দিন পরে হোক, এটা তো আসেই সবার সামনে। চলেন সবাই মিলে চেষ্টা করি, আসলে ঘটনাটা কী।’
অল কমিউনিটি সেন্টারে গিয়েছিলেন কিনা জানতে চাইলে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি গিয়েছিলাম। সেটা তো সিসিটিভির ফুটেজে আপনারা দেখেছেন। কিন্তু অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা যদি ঘটিয়ে থাকি, তাহলে সেটা এতদিন পর কেন আসল। তারা তো আমার মতো ভিকটিম হয়নি, তাদের তো কোনো বাধা ছিল না। সঙ্গে সঙ্গেই তারা অভিযোগ করতে পারতেন। এটা তো খুবই স্পষ্ট। সবাই এটা বুঝতে পারছে ভাই।’
তিনি বলেন, ‘এখন যেটা নিয়ে কথা বলছি সেটাই ইস্যু হয়ে যাচ্ছে। আপনারা দয়া করে কোনোভাবেই মূল ঘটনাকে কোনোভাবেই এদিক ওদিক সরতে দিয়েন না। প্লিজ আপনারা পাশে থাকেন। একটা সত্যিকে সামনে আনতে দেন। আমি মনোবল হারাতে চাই না আর। প্লিজ আমাকে হেল্প করেন। আমার কিন্তু জ্বর।’
ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে পরী মণি নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন। এরপর প্রধান আসামি নাসির ও অমিসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে মাদক ও ইয়াবা জব্দ করা হয়।
ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর রবিবার রাতে বনানীর বাসায় সংবাদ সম্মেলনে পরী মণি বলেন, চার দিন আগে ঢাকা বোট ক্লাবে নাসির উদ্দিন মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালান। তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
তিনি জানান, তার ব্যক্তিগত কস্টিউম ডিজাইনার জিমির বন্ধু ব্যবসায়ী অমির আমন্ত্রণে সেদিন জিমিকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরা বোট ক্লাবে যান। সেখানে তাকে পানীয় গ্রহণ করতে বলা হয়। এরপর তার সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করেন নাসির ইউ মাহমুদ। একপর্যায়ে শুরু হয় মারধর। এ সময় অমিকে নীরব থাকতে দেখা যায় বলেও দাবি করেন পরীমণি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেখানে অজ্ঞান হয়ে যান পরী মণি। এরপর রাত ২টা থেকে আড়াইটার দিকে তিনি সুস্থ হয়ে বনানী থানায় যান।
পরী মণি বলেন, আমি সুইসাইড করার মতো মেয়ে নই। আমি সুইসাইড করতে চাই না। তারপরও যদি আমার মৃত্যু হয়, তাহলে তার জন্য সেই ব্যক্তিরা দায়ী থাকবে।