কমলগঞ্জে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ জুন ২০২১, ৮:০৯:৩২
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে স্বামীর বড় বোনের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে দীপা চৌধুরী (২৮) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে আত্মহত্যাকারীর পরিবারের সদস্যদের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয় পরিকল্পিত হত্যা।
রবিবার ভোরে উপজেলার শমসেরনগর ইউপির গোবিন্দপুর গ্রামের মঈনুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। সরেজমিনে জানা যায়, মুন্সীবাজারের বিক্রমকলস গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী দীপা চৌধুরী। দীপা যুক্তরাজ্যে বাস করতেন। সেখানে তার প্রথম স্বামী ও প্রথম পক্ষের এক ছেলেও রয়েছে। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে আদালতের মাধ্যমে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছিল।
এ বিয়ে নিয়ে সাইফুলের পারিবারিক দ্বন্দ্ব শুরু হলে তিনি তার স্ত্রী দীপাকে গোবিন্দপুর গ্রামে তার (সাইফুলের) বড় বোন শেফী বেগমের বাড়িতে রাখেন।
রবিবার ভোরে কোনো এক সময় দীপা রান্নাঘরের চালার সঙ্গে পরনের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনার খবর পেয়ে রবিবার সকালে শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক শাহ আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূ দীপার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে গৃহবধূর বোন মৌমিতা সাংবাদিকদের জানান, সাইফুল তার বোন দীপার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। একপর্যায়ে তার বোন প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করে সাইফুলের সঙ্গে বিয়ে হয়। সে মনে করে এটি আত্মহত্যা নয় এটি পরিকল্পিত হত্যা। এ ঘটনায় তারা থানায় মামলা করবেন বলেও জানান।
সাইফুলের বোন শেফী বেগম বলেন, গত রমজানের আগে সাইফুল মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর তার স্ত্রী দীপাকে নিয়ে তার বাড়িতে আসেন। সেই থেকে দীপা এখানেই অবস্থান করছিলেন। সে তার সাথে (শেফী বেগমের সাথে) একই বিছানায় থাকতেন। রবিবার ভোরে সবার অগোচরে রান্না ঘরের চালার সঙ্গে গায়ের ওড়না পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক শাহ আলম বলেন, লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একটি অপমৃত্যু দায়ের করা হবে। আর কোনো অভিযোগ হলে তদন্তক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।