মিয়ানমারে ‘সামরিক অভ্যুত্থান’, অং সান সু চি আটক
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:১৯:৩৯
মিয়ানমারে দৃশ্যত সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। দেশটির ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সু চিকে সেনাবাহিনী আটক করেছে।
ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) মুখপাত্র বলেছেন, দেশের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ আরও কয়েকজন নেতাকেও আটক করা হয়েছে।
বিবিসি বাংলা বলছে, এই ঘটনা এমন সময় ঘটছে, যখন মিয়ানমারে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত বছর নভেম্বরের নির্বাচনে অং সান সু চির এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে।
মিয়ানমার বার্মা নামেও পরিচিত যা ২০১১ পর্যন্ত শাসন করেছে সামরিক বাহিনী। সু চি অনেক বছর ধরে গৃহবন্দী ছিলেন।
সোমবার নবনির্বাচিত সংসদের প্রথম বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেনাবাহিনী অধিবেশন স্থগিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।
রাজধানী নেইপিদো এবং প্রধান শহর ইয়ানগনের রাস্তায় সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে।
প্রধান প্রধান শহরগুলোতে মোবাইল ইন্টারনেট এবং কিছু টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এমআরটিভি জানিয়েছে, তারা কিছু কারিগরি সমস্যার মুখে পড়েছে এবং তাদের সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।
বিবিসির দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া সংবাদদাতা জনাথন হেড জানিয়েছেন, যদিও গত সপ্তাহ সামরিক বাহিনী সংবিধান মেনে চলার অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছে তার পরও এটাকে পুরো মাত্রায় সামরিক অভ্যুত্থান বলেই মনে হচ্ছে। এক দশকেরও বেশি সময় আগে সংবিধান তৈরি করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সামরিক বাহিনী উল্লেখযোগ্য ক্ষমতা রয়েছে যার মাধ্যমে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারে তারা। কিন্তু সু চির মতো রাজনৈতিক নেতাকে আটক করার ঘটনা উসকানিমূলক এবং খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এমন পদক্ষেপ তীব্র বাধার মুখে পড়বে।
সেনারা দেশের বিভিন্ন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে তাদের আটক করে নিয়ে যায় বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে।
এনএলডি মুখপাত্র মিও নয়েন্ট সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, প্রেসিডেন্ট মিন্ট এবং অন্যান্য নেতাদের ভোরে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, ‘’আমি জনগণকে বেপরোয়া কিছু না করার অনুরোধ করছি। আমি চাই তারা আইন মেনে চলবে।’