পরবর্তী মহামারী মোকাবিলার উপায় বললেন গেটস
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ৬:১৪:৫৮
নভেল করোনাভাইরাসের হাত থেকে পৃথিবী যখন মুক্তি পাওয়ার দিন গুনছে, তখন পরবর্তী মহামারী মোকাবিলায় প্রস্তুত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত বার্ষিক চিঠিতে ধনী দেশগুলোর উদ্দেশ্যে এই ধনকুবের বলেছেন, গবেষণার কাজে দ্বিগুণ বিনিয়োগ করতে হবে।
মহামারী সামলানোর পরামর্শ দিতে গিয়ে গেটস বলেন, ‘প্রথমত, যত দ্রুত সম্ভব আমাদের রোগের ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি বুঝতে হবে। এ জন্য বৈশ্বিক সতর্কতা ব্যবস্থা প্রয়োজন। এই মুহূর্তে আমাদের সেটি নেই।’
‘এই সিস্টেমের মেরুদণ্ড হবে ডায়াগনস্টিক টেস্টিং। ধরুন, আপনি কোনো গ্রাম্য ক্লিনিকের একজন নার্স। আপনি দেখলেন বছরের এই সময়ে ধারণার চেয়ে বেশি কাশির রোগী আসছে। অথবা মনে হল, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। তখন সাধারণভাবে আপনার টেস্ট করতে হবে। একটাতেও পজিটিভ না আসলে নমুনা বাইরে পাঠাতে হবে।’
‘যদি আপনার নমুনা মারাত্মক সংক্রমণের কারণ হয়-অথবা সম্পূর্ণ নতুন জীবাণু, তাহলে সতর্ক হতে হবে।’
‘এই চিকিৎসাকর্মীদের মহামারীর দমকলবাহিনী হতে হবে। একদম ফায়ার ফাইটারের মতো, পেশাদারভাবে সম্পূর্ণ প্রশিক্ষিত হতে হবে।’
এই কর্মীদের সবসময় সতর্ক রাখতে নিয়মিত ‘জীবাণু-খেলা’ আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছেন গেটস, ‘ধারাবাহিকভাবে এটি করতে হবে। আমরা কীভাবে প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে সাড়া দিচ্ছি এখানে সেটি বোঝা যাবে। সেনাবাহিনী বাস্তব জীবনের যুদ্ধের জন্য যেভাবে প্রস্তুতি নেয়, ঠিক সেভাবে। দমকলকর্মীরাও এভাবে প্রস্তুতি নেয়। যত দ্রুত আপনি ব্যবস্থা নেবেন, তত দ্রুত ভাইরাস ঠেকাতে পারবেন।’
তাইওয়ান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই দুটি দেশ সার্স এবং মার্সের অভিজ্ঞতা থেকে কভিড-১৯ আগেভাগে সামলাতে পেরেছে। কারণ তারা জানত কী করতে হবে।’
গেটসের আশা, ‘পৃথিবী এখন বুঝতে পারছে মহামারী কতটা গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া উচিত। তাই সামনের দিনে মোকাবিলা সহজ হবে বলে আশা করছি।’