রবীন্দ্রগানে, নৃত্য আর কবিতায় উচ্ছ্বাস ছড়ালো বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা আয়োজিত বসন্ত উৎসব ১৪২৬। সিলেট নগরীর রিকাবীবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামের মুক্তমঞ্চে সোমবার (০৯ মার্চ) বিকালে বসন্ত উৎসব ১৪২৬ এর উদ্বোধন করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক সুনির্মল কুমার দেব মীন।
ছন্দনৃত্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল লাগলো যে দোল’ – এ রবীন্দ্রসংগীত নৃত্যের মোহনিয় তালে ফুটিয়ে তোলার মধ্য দিয়ে বসন্ত উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ‘যদি তারে নাই চিনি গো’, ‘ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান’, ‘ধীরে ধীরে বও’, ‘দখিন হাওয়া জাগো জাগো’, ‘ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে’সহ গীতবিতানের বসন্তের কুড়িটি গান পরিবেশন করেন শিল্পী-শিক্ষার্থীরা।
সোমবার বিকেলে সুরের মূর্ছনার আবেশ ছড়িয়ে পড়ে পুরো কবি নজরুল চত্বর। একে একে পরিবেশন করা হয় গান, আবৃত্তি এবং নৃত্য। এসময় নানা বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে কবি নজরুল অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গণ। উৎসবে বাসন্তী আর গাদা ফুলের রঙে সাজে সেজেছিল নারীরা। ধর্ম আর বয়সের বেড়াজাল ভেঙে উৎসবে এসেছেন বয়োজ্যেষ্ঠরাও। উৎসবে আমন্ত্রিত সংগঠন হিসেবে অংশ নেন আনন্দলোক, গীতবিতান বাংলাদেশ, সুরাঞ্জলি, সংগীত মুকুল।
উৎসবে বসন্ত নিয়ে আলোকপাত করেন রবীন্দ্র গবেষক মিহির কান্তি চৌধুরী। তিনি বলেন, বসন্তের রঙ আমাদের নতুন করে করে উজ্জীবিত করে। বসন্ত বাঙালির প্রাণের উৎসব। বসন্ত শুধু উচ্ছ্বাসের রঙ ছড়ায় না। এটি বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে উজ্জীবিত করে। বাঙালির হাজার বছরের যে সংস্কৃতি রয়েছে সেই সংস্কৃতি যেন আমরা সবাই মিলে পালন করি।
সংস্থার সভাপতি রাণা কুমার সিনহার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষাাবিদ আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমেদ মিশু, নাট্যজন আশুতোষ ভৌমিক বিমল, নাট্য সংগঠক শক্তিপদ হালদার। স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুমনা আজিজ।