শাহ আরেফিন মাজার খুঁড়ে পাথর তোলা সেই বশর কোম্পানি গ্রেফতার
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৮:৪৮:২১

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন (রহ.) মাজার এলাকায় পাথর উত্তোলন ও মাজার এলাকা ধ্বংসের অভিযোগে ‘ধ্বংসের হোতা’ হিসেবে পরিচিত বশর মিয়া ওরফে বশর কোম্পানিকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার জালিয়ারপাড় গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বশর মিয়া মৃত শুকুর আলীর ছেলে। একই অভিযানে বৈশাখান্দী বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল মালেক নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকেও মোবাইল কোর্ট তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়।
উপজেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, রাত ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় শাহ আরেফিন টিলায় পাথর লুটপাট ও মাজার ধ্বংসের ঘটনায় আলোচিত বশর মিয়াকে আটক করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই শাহ আরেফিন টিলা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন শুরু হয়। তখন প্রায় ৭০০ বছরের পুরোনো শাহ আরেফিন (রহ.) মাজার এলাকায় স্তুপ করে রাখা প্রায় দুই কোটি টাকার পাথর লুট করা হয়। এরপর শতবর্ষী গাছপালা কেটে ফেলা ও মাজারসংলগ্ন মাঠে গর্ত করে পাথর তোলার কাজ চলে দীর্ঘ এক বছর ধরে। এসব কর্মকাণ্ডের নেতৃত্বে ছিলেন বশর মিয়া, যিনি স্থানীয়ভাবে ‘বশর কোম্পানি’ নামে পরিচিত।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বশর মিয়ার বিরুদ্ধে আগে থেকেই শাহ আরেফিন টিলা ধ্বংস, অবৈধ পাথর উত্তোলন, অস্ত্র ও পুলিশ এসল্টসহ চারটি নিয়মিত মামলা রয়েছে। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলতে সাহস পেত না। তাঁর নেতৃত্বেই শাহ আরেফিন টিলা ও মাজার এলাকা ধ্বংস করা হয়।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ বলেন, ‘বশর মিয়ার বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাঁকে এক বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। অপর আসামি আব্দুল মালেককে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’



