জাফলংয়ে পর্যটকদের সঙ্গে হাতাহাতি, উৎমাছড়ায় যেতে মানা
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ জুন ২০২৫, ৮:১০:০৯
সিলেটের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে পর্যটকদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে স্থানীয়দের। আরেক পর্যটনকেন্দ্র কোম্পানীগঞ্জের উৎমাছড়ায় যেতে পর্যটকদের নিষেধ করেছে স্থানীয়রা।
সোমবার বিকালে জাফলংয়ে ও রোববার উৎমাছড়ায় ঘটা এসব ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকালে জাফলং বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় কয়েকজন পর্যটকের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে পর্যটকদের ধাওয়া দেন যুবকরা।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, জাফলং বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন একটি স্থানে পর্যটকদের পরিবহনে ব্যবহৃত একটি বাসের পাশে জটলা। সেখানে দুপক্ষের মধ্যে কথাবার্তা হচ্ছিল। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে চিৎকার, হাতাহাতি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী বলেন, ‘তুচ্ছ বিষয় নিয়ে জাফলংয়ে পর্যটকদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় মুরব্বিরা বিষষটির সমাধান করেন। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় অনেকের ভুল ধারণা হয়েছে।’
এদিকে, অশ্লীল কার্যকলাপ করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগ তুলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রনিখাই ইউনিয়নে উৎমাছড়া পর্যটনকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের। রোববার এমন ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, স্থানীয় পরিচয়ে কয়েকজন বেড়াতে আসা পর্যটকদের চলে যেতে অনুরোধ জানাচ্ছেন। এ সময় পর্যটকদের এলাকার পরিবেশ নষ্ট না করা ও অশ্লীলতা না করার কথা বলা হয়।
উৎমাছড়ায় বেড়াতে যেতে যারা নিষেধ করেছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি মুফতি রুহুল আমিন সিরাজী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পর্যটনের কথা বলে কিছু মানুষ ওই এলাকায় গিয়ে মদ্যপান ও অশ্লীল কার্যক্রম করছেন। এতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এসব বিষয়ে স্থানীয় আলেম-ওলামা ও মুরব্বি-যুবকদের নিয়ে ঈদের আগে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত হয়েছে। পর্যটনকেন্দ্রটি নিয়ে যাতে নিরুৎসাহিত করা হয়। এর অংশ হিসেবে রোববার বিকালে বেড়াতে আসা লোকজনকে বুঝিয়ে বলা হয়েছে।’