ইলন মাস্ক নয়, শীর্ষ ধনী এখন বার্নার্ড আর্নল্ট
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ৯:০৩:৪৭
ইলন মাস্কের নাম আসলেই বেশিরভাগেরই মনে হয় বিশ্বের সবচেয়ে ধনী লোক তিনি। তথ্যটাও মিথ্যা নয়। তবে সম্প্রতি তাকে পেছনে ফেলে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর মুকুট ছিনিয়ে নিয়েছেন ফরাসি বিলাসদ্রব্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লুই ভিতোঁর মালিক ও চেয়ারম্যান বার্নার্ড আর্নল্ট।
প্রখ্যাত সাময়িকী ফোর্বসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত শুক্রবার লুই ভিতোঁর মালিকের সম্পদ ২৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ২০৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বিপরীতে ইলন মাস্কের সম্পদ কমে দাঁড়িয়ে ২০৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে। গত বৃহস্পতিবার শেয়ার বাজারে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারের দর প্রায় ১৩ শতাংশ কমে গেছে। যার ফলে এক ধাক্কায় প্রতিষ্ঠানটির মালিকের সম্পদও বিপুল পরিমাণে কমে গেছে।
বার্নার্ড আর্নল্টের কাছে শীর্ষ ধনীর খেতাব হারালেও ইলন মাস্কের কোম্পানি টেসলার সম্পদ এখনো লুই ভিতোঁর চেয়ে অনেক বেশি। গত শুক্রবার লুই ভিতোঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩৮৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। বিপরীতে টেসলার সম্পদ হলো ৫৮৬ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার।
বিশ্বের শীর্ষ ৫ ধনীর সম্পদ ২০২০ সাল থেকে ফুলেফেঁপে বেড়েছে। এ সময়ে তাঁদের সম্পদ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। ধারাবাহিকভাবে এমন হারে তাঁদের সম্পদ বাড়তে থাকলে শিগগিরই হয়তো পৃথিবীবাসী আগামী এক দশকের মধ্যেই বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার দেখতে পাবে। অক্সফামের হিসাব অনুসারে, মূল্যস্ফীতির হিসাব বিবেচনায় নিয়েই ২০২০ সাল থেকে বিশ্বের শীর্ষ ৫ বিলিয়নিয়ারের মোট সম্পদ ৪০৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ১১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬৯ বিলিয়ন ডলার।
অক্সফাম জানিয়েছে, গত ৪ বছরে বিশ্বের শীর্ষ ৫ ধনী ফরাসি বিলাসী পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠা লুই ভিতোঁর প্রধান বার্নার্ড আর্নল্ট, আমাজনের জেফ বেজোস, বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট, ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন এবং টেসলার সিইও ইলন মাস্ক। এই ৫ ধনকুবেরের সম্পদ প্রতি ঘণ্টায় ১৪ মিলিয়ন ডলার হারে বেড়েছে বলে জানিয়েছে অক্সফাম।
সম্পদশালী হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে ইলন মাস্ক। তিনি টেসলা, স্পেসএক্স, এক্সসহ (সাবেক টুইটার) বেশ কয়েকটি সংস্থা চালান। গত বছরের নভেম্বরের শেষ নাগাদ তাঁর সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ২৪৫.৫ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২০ সালের মার্চের তুলনায় ৭৩৭ শতাংশ বেশি।
এরপরের স্থানেই আছেন ফরাসি বিলাসী পণ্যের জায়ান্ট লুই ভিতোঁর চেয়ারম্যান বার্নার্ড আর্নল্ট। তাঁর সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২০ সালের মার্চের তুলনায় ১১১ শতাংশ বেশি। একই সময়ে আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে, যা আগের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে এ সময় ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৪৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার, যা আগের তুলনায় ১০৭ শতাংশ বেশি। আর বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের সিইও ওয়ারেন বাফেটের সম্পদ এ সময়ে ৪৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে।
অক্সফাম জানিয়েছে, সামগ্রিকভাবে বিশ্বের সব বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার বা ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। তাঁদের সম্পদ মূল্যস্ফীতির হারের চেয়েও তিন গুণ বেশি হারে বেড়েছে।