জগন্নাথপুরে ধর্ষণের পর ৬ টুকরো : আদালতে প্রধান আসামির জবানবন্দি
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ মার্চ ২০২২, ৭:৫৫:৫৫
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্নাকে (৩৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার পর মরদেহ ছয় টুকরো করে গুমের চেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামি জগন্নাথপুরের অভি মেডিকেল হলের মালিক জিতেশ চন্দ্র গোপ দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন জিতেশ চন্দ্র গোপ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক লিটন দেওয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্না হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি জিতেশ চন্দ্র গোপ দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠনোর নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি তিন আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৮ দিনের রিমান্ড শেষে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আসামিদের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহানের আদালতে হাজির করে তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো ৮ দিনের রিমান্ড চাইলে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
২০১৩ সাল থেকে পৌর শহরের নিজ বাসায় ২ ছেলে ও ১ মেয়েকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন শাহনাজ পারভীন। কিছুদিন ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এ সমস্যার কথা জিতেশ চন্দ্রকে জানালে শাহনাজ পারভীনকে ফার্মেসিতে যেতে বলেন তিনি।
এরপর কৌশলে তাকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন জিতেশ ও মামলার অপর দুই আসামি। এরপর ধর্ষণের বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার কথা বললে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসামিরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী জ্যোৎস্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ছুরি দিয়ে মরদেহ ছয় টুকরো করে জিতেশ ও তার সহযোগীরা। এরপর মরদেহ গুম করার পরিকল্পনাও করে তারা।
১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তালাবদ্ধ অভি মেডিকেল হল থেকে শাহনাজ পারভীনের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে জগন্নাথপুর থানার পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই হেলালউদ্দিন বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এর প্রেক্ষিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ও সুনামগঞ্জে অভিযান চালিয়ে শাহনাজ হত্যার সঙ্গে জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।