বন্যহাতি নিয়ে উৎকণ্ঠায় তাহিরপুরবাসী
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ৭:৫৮:৩৭
তাহিরপুর প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তের কয়েকশ’ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বন্যহাতি নিয়ে উৎকণ্ঠায় সময় কাটাচ্ছেন।
শনিবার রাতেও ৭টি বন্য হাতি খাবারের সন্ধানে ভারত থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের যাদুকাটা নদীর পাড় দিয়ে লোকালয়ে নেমে আসে।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি হাতির পাল খাবারের সন্ধানে সীমান্তের বড়গোপ টিলা থেকে মাহারাম টিলা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকা চষে বেড়াচ্ছে। হাতির কারণে আতঙ্কে ও বেয়কায়দায় পড়েছেন সীমান্ত এলাকার পাঁচ শতাধিক মানুষ। পাশাপাশি সীমান্তের বড়গোপ টিলা ও মাহারাম টিলা এলাকায় ফসলি জমির ক্ষতি করছে হাতির দল।
স্থানীয়রা জানান, গত বছরের ১৬ নভেম্বর রাতে একইভাবে ভারতের পাহাড় থেকে দলবেঁধে তাহিরপুরের বড়গোপ টিলায় অবস্থান নিয়েছিল চারটি বন্য হাতি। সেই সময় আমন ধানসহ ফসল ও অন্য সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করার পর তিনজনকে আহত করে চলে যায় হাতিগুলো।
স্থানীয় বড়গোপ টিলার বাসিন্দা আজিজুল হক বলেন, হাতির দল ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। সীমান্তের বাসিন্দারা হাতির দলের অত্যাচারে অসহায়।
স্থানীয় বড়গোপ টিলার অপর বাসিন্দা মো. সজিব হাসান বলেন, হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে রাতে মশাল জ্বালিয়ে অবস্থান নেওয়া হয়েছে।
একই এলাকার বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ বলেন, সীমান্তের বড়গোপ টিলা থেকে মাহারাম টিলা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় হাতিরা চষে বেড়াচ্ছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান কবীর বলেন, হাতির দলকে যাতে কেউ বিরক্ত না করে সেজন্য মাইকিং করে স্থানীয়দের সর্তক করা হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ জেলা বন কর্মকর্তা চয়ন চৌধুরী বললেন, হাতির দলকে বিরক্ত না করার জন্য মাইকে অনুরোধ করা হয়েছে। সিলেট থেকে বন্যপ্রাণী বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল ওখানে গেছেন। পুলিশ বিজিবির সহায়তায় হাতির দলকে অবরুদ্ধ রাখা হয়েছে।
বিজিবির সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, শনিবার রাতে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের বন্য হাতিগুলো বড়গোপ টিলা এলাকায় ঢুকে পড়ে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বন বিভাগকে অবগত করা হয়েছে। বিজিবি সীমান্তের লোকজনকে নিরাপদে থাকার জন্য অনুরোধ করছে ও হাতিগুলোকে সরিয়ে দিতে বন বিভাগের লোকজনকে সহযোগিতা করছে।