কমলগঞ্জে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ঋষিরা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৭:৫২:০৩
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আসন্ন দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে পুরোনো খোল, ঢোলক, তবলা, বায়া ও কাটিঢোল বাদ্যযন্ত্র মেরামত আর নতুন খোল, ঢাক-ঢোল তৈরিতে ব্যস্ত ঋষি সম্প্রদায়। কমলগঞ্জ উপজেলার ঋষির দোকানে ঢুকতেই শোনা গেল ঢাক-ঢোলের ডুম-ডাম শব্দ। কেউ পুরোনো ঢাক-ঢোল মেরামত করছেন আবার কেউ নতুন ঢাক-ঢোল তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অ
আগামী ১১ অক্টোবর সোমবার ষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজাকে সামনে রেখেই সকাল থেকে রাত অবধি এ ব্যস্ততা ঋষিদের।
শমশেরনগর বাজারের অসীম ঋষি জানান, তাঁর বাবাও এ পেশায় সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তিনি বাবার কাছ থেকে এই কাজ শিখেছেন। বর্তমানে বিভিন্ন কারণে তাদের ঢোল-বাদকের সংখ্যা কমে গেছে। তবে এই বাজারে কয়েকটি পরিবার এখনো এ পেশার সঙ্গে জড়িত আছে। উপজেলার পূজা মন্ডপ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার দুর্গা পূজায় এ পাড়ার বাদকদের ডাক পড়ে। তাই পুরোনো সব ঢাক-ঢোলগুলো মেরামতের পাশাপাশি এসময় নতুন নতুন ঢাক-ঢোল তৈরি করতে হয় ফলে পূজার এ সময়টাতে তাদের ব্যস্ততা একটু বেড়েই যায়।
তিনি আরও জানান একটি ঢোলের দাম ১২শ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। বছরের দুটি সময় কালীপূজা ও দূর্ঘাপূজায় বেশি বিক্রি হয় বাধ্যযন্ত্র। একটি ঢোল বিক্রি করলে আকার অনুযায়ী ২শ থেকে ৭শ টাকা লাভ হয়।
টিংকু নামের আরেক ঢুলি জানান, করোনা কালিন সময়ে দীর্ঘদিন বসে থাকলেও কালীপূজা ও দুর্গাপূজার সময়টাতে তাদের মূল্যায়ন হয়। এ সময় পরিশম্র অনুযায়ী ৬ থেকে ১৪ হাজার টাকা চুক্তিতে বিভিন্ন এলাকায় কাজের ডাক পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি সংকর লাল শাহা জানান, একটা সময় ছিল ঢুলিরা দূর্গা পূজার আগে মন্ডপে মন্ডপে ঘুরে তাদেরকে পূজুর দাওয়াত করার কথা বলত। কিন্তু এখন তাদেরকে অতি সহজে পাওয়া যায় না। তাদের বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজে পূজা মন্ডল গুলো প্রাণ ফিরে পায়। এ
বছর উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নে ১৪৩টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।