বিমানবন্দরে ক্যাপ্টেন নওশাদকে শেষ শ্রদ্ধা
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৩:১২:৪২
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুমকে বিমানবন্দরে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। ক্যাপ্টেন নওশাদকে শ্রদ্ধা জানান তার শোকার্ত সহকর্মীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে তার মরদেহ ভারত থেকে দেশে আনা হয়। তার মরদেহ বহনকারী বিমানের ফ্লাইটটি সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছায়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহ বহনকারী ফ্লাইটটি আজ সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে।
ফ্লাইটটি অবতরণের আগেই নওশাদের সহকর্মীরা বিমানবন্দরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। বিমান অবতরণের পর সহকর্মীরা তার কফিনটি কাঁধে করে নামান। পরে একটি মঞ্চে সেটি রাখা হয়। সেখানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বিমানের এমডি ও সিইও আবু সালেহ মোস্তফা কামাল শ্রদ্ধা জানান।
পরে বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সসহ অন্যদের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলটরা নিজেদের টুপি খুলে নওশাদকে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় পাইলটরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এসময় সেখানে নওশাদের মেয়ে ও বোন উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা জানানো শেষে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী সাংবাদিকদের বলেন, পাইলট নওশাদের অকালমৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তার মৃত্যু আমাদের বিমান পরিবারের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় তার মৃত্যু একটা ভিন্নমাত্রা বহন করে।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নওশাদের কফিন একটি ফ্রিজিং ভ্যানে তোলা হয়। পরে ভ্যানটি তার উত্তরার বাসার উদ্দেশে রওনা দেয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ জোহরের নামাজের পর বিমানের বলাকা ভবনে নওশাদের মরদেহ আনা হবে। সেখানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ আগস্ট ওমানের মাস্কাট থেকে ১২৪ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট (বিজি-০২২) উড্ডয়ন করেছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ। পথে ভারতের আকাশে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন।
পরে প্লেনটিকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। সেখান থেকে নওশাদকে নেওয়া হয় হাসপাতালে। ওই ফ্লাইটে ১২৪ জন যাত্রী ছিলেন। পরে যাত্রীদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
২০১৬ সালেও বিমান চালনায় দক্ষতার কারণে ক্যাপ্টেন নওশাদকে পেশাগত দক্ষতা ও নৈপুণ্যের প্রশংসা করে স্বীকৃতি দেয় আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশন।