দেশে করোনায় রেকর্ড ১১৯ মৃত্যু
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জুন ২০২১, ৭:৫১:৫৬
কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৪৭৭তম দিনে দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। এদিন নতুন ১১৯ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১৭২ জন।
গত এপ্রিল মাসের ১৯ তারিখ সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যু হয়। আর গতকাল ৭৭ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ২৪ হাজার ৪০০টি নমুনা পরীক্ষায় পাঁচ হাজার ২৬৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৪৭ লাখ ৪৭ হাজার ১৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৭ লাখ ৫৯ হাজার ৬২৩টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৫ লাখ ছয় হাজার ৭৮১টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন আট লাখ ৮৮ হাজার ৪০৬ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ২৪৯ জনসহ মোট আট লাখ চার হাজার ১০৩ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৫১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১১৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৭৫ জন পুরুষ ও ৪৪ জন নারী। তাদের মধ্যে ১১৩ জনের হাসপাতালে (সরকারীতে ৯৯ জন, বেসরকারীতে ১৪ জন) ও বাড়িতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে দু’জনকে আনা হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ১৪ হাজার ১৭২। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬০ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ১১৮ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭১ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং চার হাজার ৫৪ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৮ দশমিক ৬১ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১১৯ জনের মধ্যে একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী ছয়জন, ত্রিশোর্ধ্ব নয়জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১১ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৩৪ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৫৯ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ২৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২ জন, রাজশাহী বিভাগে ২২ জন, খুলনা বিভাগে ৩২ জন, বরিশাল বিভাগে দুইজন, সিলেট বিভাগে পাঁচজন, রংপুর বিভাগে নয়জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৮ কোটি ১৬ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৯ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৬ কোটি ৬১ লাখের বেশি।