গোয়াইনঘাটে দুই শিশুসহ মাকে হত্যা: সন্দেহের তালিকায় যারা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ জুন ২০২১, ৫:৫০:৩৭
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি : এক দিনমজুরের স্ত্রী সন্তানকে হত্যার নেপথ্যে কি? কি কারণে সিলেটের গোয়াইনঘাটে দুই শিশুসহ মাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়টি সিলেট তথা দেশজুড়ে আলোচিত। এ নিয়ে কাজ করছে পুলিশের কয়েকটি ইউনিট।
প্রাথমিকভাবে দুটি বিষয় মাথায় নিয়ে রহস্য উদঘাটনের কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে এ ঘটনায় আহত হিফজুর রহমানের জ্ঞান ফিরে না আসায় পুরো ঘটনা জানতে পারছে না পুলিশ।
তবে পুলিশের ধারণা পারিবারিক কলহ কিংবা সম্পত্তি নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। কিন্তু এর বাইরেও কোনো কারণ থাকতে পারে। বাড়িতে এতো বড় হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি কেউ টের না পাওয়া সন্দেহজনক মনে করছে পুলিশ। যে কারণে হিফজুরের শ্যালিকা সোনারা বেগম, মামি আফিয়া বেগম ও মামা সাজ্জাদ মিয়াসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে স্ত্রী সন্তান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্বামী হিফজুর রহমানকেও সন্দেহের তালিকায় রেখেছে পুলিশ।
এ ঘটনার পর বুধবার দুপুরে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, এসপি মো. ফরিদ উদ্দিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এসপি মো. ফরিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, দুই শিশুসহ মাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুটি বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। আমরা ধারণা করছি পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং মামার বাড়ির সঙ্গে ঝামেলার কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। কারণ হিফজুর রহমান দীর্ঘদিন থেকেই মামার বাড়িতে থাকছেন। এটি হয়তো মামার বাড়ির লোকজন ভালোভাবে নেননি। সেজন্য হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে। এছাড়া হিফজুর রহমানের পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণেও এটি হতে পারে। আমরা মূলত এসব বিষয় সামনে রেখেই প্রাথমিক তদন্ত করছি।
এসপি আরো বলেন, ঘটনার আগে এবং পরে এই ঘরে কাউকে প্রবেশ করতে দেখেননি কেউ। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে আমরা যে বটি দা উদ্ধার করেছি তা কুমড়া পাতা দিয়ে মোড়ানো ছিল। সেজন্য হিফজুর রহমানকেও সন্দেহের তালিকায় রাখা হচ্ছে।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজনকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার কারণ খুঁজতে কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত চলছে।
এর আগে বুধবার সকালে গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি গ্রামে একই পরিবারের তিনজনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতরা হলেন- বিন্নাকান্দি গ্রামের হিফজুর রহমানের স্ত্রী আলিমা বেগম, ছেলে মিজান ও মেয়ে তানিশা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হিফজুর রহমানকে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়।