কুম্ভমেলার ২৮ লাখ পূণ্যার্থী নিয়ে আশঙ্কা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ এপ্রিল ২০২১, ৫:৫২:৫৬
শাহি স্নানে যোগ দিতে আসেন সারা ভারতের পূণ্যার্থীরা
দেশটিতে কেভিডের প্রকোপ বাড়লেও এ তীর্থে ন্যূনতম সতর্কতা বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছে উত্তরাখণ্ড সরকার। ফলে কুম্ভ কোভিড সংক্রমণের ‘সুপারস্প্রেডার’ হয়ে দাঁড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে।
কুম্ভ ফেরত তীর্থযাত্রীদের মাধ্যমে মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা নিয়ে মুখও খুলেছে সে রাজ্যের শাসক জোটের শরিক শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস।
তবে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তিরথ সিংহ রাওয়তের মতে, সব কভিড বিধি মেনেই কুম্ভমেলা পরিচালনা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে তার আশা, ঈশ্বরভক্তি রোগের ভয়কে জয় করতে সাহায্য করবে।
উত্তরাখণ্ড সরকারের মেডিকেল দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, রবিবার রাত সাড়ে এগারোটা থেকে সোমবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ১৮ হাজার ১৬৯ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০২ জন পজিটিভ। পরদিন হরিদ্বারে ৫৯৪ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এ নিয়ে ২ দিনে হরিদ্বারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার জনে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, হরিদ্বারের স্টেশন ও ঘাটগুলোতে নেই থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা। যারা মাস্ক না পরে ঘুরছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষণ চোখে পড়ছে না কোথাও।
আরও বলা হচ্ছে, বিপুল জনসমাগমের ফলে কভিডের বিরুদ্ধে প্রথম যে ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে সেটি হলো কুম্ভে আসতে ইচ্ছুক সকলের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা। বিভিন্ন চেকপোস্টে যাত্রীদের আরটি-পিসিআর রিপোর্ট আছে কিনা, তা জানতে চাওয়া হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু না থাকলে কোনো যাত্রীকে আটকানো হচ্ছে না।
করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে গত বছর কয়েক হাজার লোকের সমাগমে অনুষ্ঠিত তবলিগ জামাতের মার্কাজের সঙ্গে কুম্ভের তুলনা টানছে অনেকে। কিন্তু উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এই তুলনা ঠিক নয়। মার্কাজ হয়েছিল বদ্ধ জায়গায়। কুম্ভ গঙ্গার ঘাটের মতো ফাঁকা জায়গায় হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ডো মিটার বুধবার সকালে জানায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ১ লাখ ৮৫ হাজার ২৪৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা এ যাবৎ সর্বোচ্চ। একই সময়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২৬ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৭২ হাজার ১১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৩৮ লাখ ৭১ হাজারের বেশি।