শাল্লায় তাণ্ডব, আরও ৩ আসামি গ্রেপ্তার
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মার্চ ২০২১, ৬:৫০:৩৪
সুনামগঞ্জের শাল্লার উপজেলার সংখ্যালঘু নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে দিরাই ও শাল্লা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, শনিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। এ পর্যন্ত এ মামলার ৩৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি আসামিরদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে শনিবার (২০ মার্চ) দিবাগত রাত তিনটার দিকে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থেকে দিরাই উপজেলার নাচনী গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য ও সরমঙ্গল ইউনিয়ন যুবলীগের ওয়ার্ড সভাপতি শহীদুল ইসলাম স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই সিলেট। পরে শনিবার দুপুরে তাকে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে পিবিআই সিলেট।
স্বাধীন নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা লুটপাট ও ভাংচুরের মূল হোতা বলে দাবী করছেন মামলার বাদীরা। তাঁর বিরুদ্ধে এই ঘটনায় অনধিকার প্রবেশ, বেআইনি সমাবেশসহ নানা অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আর বৃহস্পতিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে নোয়াগাও গ্রামে হামলা লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। সব মিলিয়ে দুই মামলায় ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, আল্লামা মামুনুল হকসহ হেফাজত নেতাদের নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য করে ঝুমন দাশ নামের এক যুবক। তার বিরূপ মন্তব্য নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে এবং তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। মঙ্গলবার রাতে নোয়াগাও গ্রামের কয়েকজন হিন্দু লোকের সহায়তায় শাসকাই বাজার থেকে তাকে পুলিশে তুলে দেওয়া হয়।
ঝুমনকে আটক করা হলেও এর পরদিন সকাল ৮ টায় দিরাই উপজেলার কয়েকটি গ্রাম থেকে মামুনুল হকের অনুসারি কয়েকশ যুবক, কিশোর লাঠিসোটা নিয়ে নোয়াগাঁও এর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় তারা ঘরে থাকা পারিবারিক মূর্তিসহ ভাঙচুর চালায় এবং সম্পদের ক্ষতি করে। এ ঘটনার বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) শাল্লা থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়।