গাছে গাছে বসন্তের আগমনী
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১১:২০:১১
চারদিকে গাছগাছালি খাঁ খাঁ করছে পাতা শূন্যতায়। শীত সকালের কুয়াশা কেটে পুব আকাশে ভেসে উঠে রক্তিম সূর্য। তখন লাল আলোয় গাছের ডালপালায় মৃত্যুঞ্জয়ী খেলা করে। পিপাসু গাছের ডালপালা এক পশলা বৃষ্টির আশায় হা করে তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে। এ যেন বিধাতার অপার সৃষ্টি। আর এসব মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের প্রকৃতিকে দিয়েছে এক অপরূপ সৌন্দর্য।
বসন্তের আগমনের বার্তা মানেই পরিবর্তনের আভাস। বসন্ত শীতের সব জড়তাকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে গাছেরা আড়মোড়া ভেঙে, পুরোনো পাতা ঝরে গাছের ন্যাড়া মাথায় গজায় ঘন সবুজ কচি পাতা। কচি পাতার সান্নিধ্যে গাছে গাছে নতুন ফুলের কুঁড়ি। ফুল ফুটে নানা রঙের। চারপাশে পাখির কলতান, কোকিলের সুমধুর কুহু ডাক যেন নতুনের এক আগমনী বার্তা। তখন প্রকৃতি সাজে নতুন রূপে, যেমনটা সাজে নববধূরা। তাই তো প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য বসন্তের আগমন এক বিশেষ বার্তা বহন করে।
প্রকৃতির এই সুন্দর রূপ দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে বহু প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ ছুটে আসে কমলগঞ্জে। হাওর, বাঁওর, লেক, পাহাড়, আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ, সারি সারি চা-গাছ, পাহাড়ে ও সমতলে আনারস আর লেবুর বাগান এসব না এড়িয়ে যেতে পারেন না প্রকৃতিপ্রেমীরা। তাই এ সময় কমলগঞ্জে ভিড় জমায় তারা। প্রকৃতির খরখরে এই রূপ, সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো মনকে উতাল করে তোলা সময়কে বলা হয় বসন্ত।
প্রকৃতিকে আলিঙ্গন করাও মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট্য। শনিবার বসন্তের আগমনী দিনে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ একে অপরকে জানাবে শুভকামনা।