করোনার নতুন ধরনে খুব বেশি শঙ্কার কারণ নেই: ডব্লিউএইচও
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ ডিসেম্বর ২০২০, ৪:১৮:৪৬
যুক্তরাজ্যে সংক্রমিত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন নিয়ে বেশি শঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে।
অত্যন্ত সংক্রামক এই ধরন নিয়ে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যার জেরে যুক্তরাজ্যের ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে অন্তত ৪০টি দেশ।
রয়টার্স জানায়, নতুন ধরন একটি মহামারির বিবর্তনের স্বাভাবিক অংশ বলে অভিমত ডব্লিউএইচও’র।
এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির জরুরি বিষয়ক প্রধান মাইক রায়ান বলেন, ‘এখানে স্বচ্ছতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যা ঘটছে জনসাধারণকে তা জানানো দরকার। তবে এটিও পরিষ্কার করতে হবে যে, এটি ভাইরাসের বিবর্তনের স্বাভাবিক অংশ।’
করোনার এই ধরন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক দিকও খুঁজে পেয়েছেন ডব্লিউএইচও’র কর্মকর্তারা। ভাইরাসটিকে অনুসরণ করার জন্য ব্যবহৃত নতুন সরঞ্জামগুলো কাজ করছে বলে তারা জানিয়েছেন।
রায়ান বলেন, ‘এই সময়ে ভাইরাসটিকে এমন বৈজ্ঞানিকভাবে এবং এত সতর্কতা ও নিবিড়ভাবে অনুসরণ করতে পারা বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের একটি সত্যিকার ইতিবাচক উন্নয়ন। যে দেশগুলো এ ধরনের নজরদারি চালাচ্ছে তাদের প্রশংসা করা উচিত।’
যুক্তরাজ্য থেকে পাওয়া তথ্য উল্লেখ করে ডব্লিউএইচও’র কর্মকর্তারা জানান, করোনার বর্তমান ধরন থেকে নতুন ধরনে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বা এটি আরও প্রাণঘাতী, এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে নতুন ধরনটি আরও সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তবে যেসব দেশ যুক্তরাজ্যের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তারা ঝুঁকি পর্যালোচনা করে অতিরিক্ত সাবধানতা থেকেই এটি করেছে বলে মন্তব্য করেন রায়ান। তার মতে, ‘এটি দূরদর্শী পদক্ষেপ।’
এদিকে যুক্তরাজ্যের বাইরে ইতালি ও অস্ট্রেলিয়ায় করোনার নতুন ধরনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তরা যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করেছিলেন।
ডেনমার্কেও নতুন ধরনটি আবিষ্কৃত হওয়ার পর দেশটির ভ্রমণকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ সুইডেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায়ও করোনার আরেকটি নতুন ধরন আবিষ্কৃত হওয়ার পর তাদের ক্ষেত্রেও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কিছু দেশ। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাজ্যে পাওয়া ভাইরাসের ধরন দুটি এক নয় বলে জানা গেছে।





