ভাস্কর্যের ঐতিহ্য ও মূলধারার বাংলাদেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ ডিসেম্বর ২০২০, ৩:০৮:০২
একটি সমাজে যখন অনগ্রসর মানুষের সংখ্যা বাড়ে, তখন সেখানে বর্বরতা বৃদ্ধি পায়। একটি রাষ্ট্রে সংবিধান আছে। রাষ্ট্র চলে, চলবে সেই সংবিধান অনুযায়ী। এর ব্যত্যয় হওয়ার কথা নয়। যে কেউ সড়কে দাঁড়িয়ে আহ্বান জানালেই, অন্য কেউ রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট করতে এগিয়ে আসতে পারে না। একটি ভাস্কর্য, রাষ্ট্র নির্মিত রাষ্ট্রীয় সম্পদ। তা কেউ চাইলেই গুঁড়িয়ে দিতে পারে না। ইউরোপ আমেরিকায়, এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম অনেক দেশেই ভাস্কর্য আছে। ওই দেশের মানুষরা তা চাইলেই ভেঙে দিতে পারবে না। ভাঙার হুংকারও দিতে পারবে না। তাহলে বাংলাদেশে এই হুংকার দেওয়া হচ্ছে কেন? কারা এই হুংকার দিচ্ছে?
কলোনিয়াল মৌলবাদের দানবীয় চেহারা বাংলাদেশে প্রকট হচ্ছে। এটা খুবই মারাত্মক কথা। এ বিষয়ে আমরা যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ^াস করি, তারা দীর্ঘদিন থেকেই লেখালেখি করে আসছি। গেল বিশ বছরে আমরা দেখেছি, বস্তিতে বস্তিতে কিংবা গ্রাম-গ্রামান্তরে মৌলবাদ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই প্রবণতা বাংলাদেশে নতুন নয়। আগেও হয়েছে। হয়েছে ১৯৭১ সালের আগেও। পাকি তমদ্দুনপন্থীরা এই বিষ রেখে গিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের আগে মানুষ ততটা সচেতন ছিল না। ধর্মীয় দোহাই দিয়ে কারা সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছে, তা সবারই জানা। ‘বিবি তালাকের’ ফতোয়া আনার জন্য কয়েক মাইল পথও হেঁটেছে আগেকার দিনে কেউ কেউ। ধর্মীয় তমদ্দুনের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে এক ধরনের ‘সামাজিক ব্যবসা’ও করেছে সেইসব তালাকপত্র লেখক ফতোয়াধারীরা। তারা মানুষের কাছ থেকে টাকাকড়িও নিয়েছে।
‘বিবি তালাক হয়ে গেছে’ এ মর্মে আড়াইশ’ টাকা ফি নিয়ে ফতোয়া দিয়েছেন একজন। ‘না, বিবি তালাক হয়নি’ এমন মর্মে লিখিত ফতোয়া দিয়েছেন অন্যজন পাঁচশ’ টাকা ফি গ্রহণ করে। সবই ছিল টাকার খেলা।
আমার মাতামহী একটি প্রবাদ প্রায়ই বলতেন- ‘মিয়ায় যদি মিছা কয়, সবাই বলে অয় অয়, অমাবস্যায় দেখিয়াছি চাঁন।’ অর্থাৎ প্রবল পরাক্রমশালী গ্রামের ‘মিয়া’ যদি বলেন অমাবস্যায়ও চাঁদ দেখেছেন, তার সঙ্গেই সবাই ‘হ্যাঁ হুজুর, হ্যাঁ হুজুর করত’
এটা হচ্ছে সামন্তবাদের আদি স্বরূপ। তা কী এখন নেই? হ্যাঁ আছে। এবং বহাল তবিয়তেই রয়েছে নতুন রূপে। নতুন আঙ্গিকে। এর প্রবক্তা কারা? প্রবক্তা তারাই, যারা এখনো সেই মৌলবাদের দোর্দ- প্রতাপ খাটাতে চায় সমাজের চারপাশে।
আমরা ভুলে যাইনি, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ছাতকছড়া গ্রামের নূরজাহানকে দোররা মেরে হত্যা করা হয়েছিল। এমন ঘটনা এখনো ঘটছে। ভাবতে খুবই অবাক লাগে বাংলাদেশের বর্তমান ডিজিটাল প্রজন্মের দাবিদার সমাজ এখনো এ ফতোয়াবাজদের সমূলে প্রতিহত করতে পারছে না। কেন পারছে না, তা ভেবে বারবার কেবল হতাশই হতে হয়।
বাংলাদেশের মানুষের হাতে হাতে এখন মুঠোফোন। অথচ কোনো গ্রামে যখন কোনো ভ- ফতোয়াবাজ এ সমাজের নারী-পুরুষকে দংশন করতে তৎপর হচ্ছে, তখন এসব মুঠোফোন একসঙ্গে বেজে উঠছে না। তারা মোবাইল ফোনে একসঙ্গে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করছে না। তারা পারস্পরিক বোঝাপড়া করে মোকাবিলা করছে না এসব সামাজিক অজগরদের। কেন তা হচ্ছে না?
হ্যাঁ, বাংলাদেশের বস্তিতে বস্তিতে মৌলবাদের বীজ ছড়ানোর তৎপরতা চালানো হচ্ছে। ‘হিজাব’, ‘বোরকা’র আড়ালে থেকে তরুণ প্রজন্মের ব্রেইন ওয়াশ করার জন্য মাঠে নামানো হয়েছে কিছু নারী কর্মীকে। তারা বিভিন্ন গ্রাম-গ্রামান্তরে ছড়িয়ে পড়ে কোমলমতি স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের মননকে মৌলবাদী উন্মাদনায় সংক্রমিত করার চেষ্টা করছে। ধর্মকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে তারা মানবতার পরিশুদ্ধ বিকাশকে পঙ্গু করে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে।
বাংলাদেশে এই যে কলোনিয়াল মৌলবাদের ভয়ঙ্কর চেহারা ক্রমেই বেরিয়ে পড়ছে, তা রুখতে মানুষ কতটা সাহস নিয়ে দাঁড়াচ্ছে, রাষ্ট্রই বা কতটুকু সচেতন? এসব প্রশ্নও বিভিন্ন কারণে মুক্তচিন্তক মানুষের মনকে বিদ্ধ করছে।
বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র কিংবা এর সর্বোচ্চ জনপ্রতিনিধি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও যে হুমকি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না, তাও আমরা দেখছি। আমাদের মনে আছে, ফজলুল হক আমিনী নামের একজন অর্ধশিক্ষিত মৌলবাদী নেতা খুব ন্যক্কারজনক ভাষায় রাষ্ট্রের শীর্ষ ক্ষমতাধর প্রধানমন্ত্রীর আসনকেই হুমকি দিয়েছিলেন একসময়। নারী প্রধানমন্ত্রী মানি না- বলে যারা হুংকার দিয়েছিল, তারা কি আজও নেই এই বাংলাদেশে?
কী শক্তি ছিল ওই আমিনীর? কারা ছিল তার পেছনে? হ্যাঁ, এরাই কলোনিয়াল মৌলবাদের ফলিত ফসল। যারা এক সময় রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থেকে গোটা দেশটাকেই মৌলবাদের অ্যাকশন গ্রুপ, জঙ্গিবাদীদের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল। জন্ম দিয়েছিল ‘বাংলা ভাই’, ‘শায়খ রহমান’ নামের ফ্রাংকেনস্টাইনদের। এটা খুবই নিশ্চিত করে বলা যায়, সাময়িক জান্তাতন্ত্র কিংবা মৌলবাদী দানবতন্ত্র ছাড়া বাংলাদেশে এসব ডানপন্থী হন্তারকরা কখনো রাষ্ট্র ক্ষমতার স্পর্শ পেত না। তারা কোনোভাবেই গণমানুষের আস্থা অর্জন করতে পারত না। অথচ এসব ধর্মীয় ধ্বজাধারীরা আগেও ভোগবাদী ছিল। এখন তাদের সেই ‘সর্বখেকো’ মনোভাব আরও বহুগুণ বেড়েছে।
নারীনীতি নিয়ে ধর্মীয় লেবাসে যারা আজ জাতিকে লম্বা নসিহত শোনাচ্ছে, তারা নিজেরা কতটা পরিশুদ্ধ? একটি অতীত ঘটনা বলি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ফজলুল হক আমিনী এতিমের হক আত্মসাৎ করেছেন। কী ভয়াবহ কথা! রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে এমন ধ্বনি উচ্চারিত হওয়ার পর এই আমিনীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া অবশ্যই রাষ্ট্রের অন্যতম কর্তব্য ছিল। প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই না জেনে, না বুঝে এমন কথা বলেননি। সাক্ষ্য-প্রমাণ নিয়ে আমিনীকে আইনের হাতে সোপর্দ করা এই সমাজের নৈতিক দায়িত্বও ছিল। তার বিচার হয়েছিল কি? কেন হয়নি? যদি হতো, তাহলে আজ বাংলাদেশে আমিনীর উত্তরসূরিরা এত সাহস পেত না।
এটা সবার জানা এবং বোঝা উচিত বাংলাদেশে কলোনিয়াল মৌলবাদ যারা সমাজের ঘাড়ে চাপাতে চাইছে, তাদের জীবনাচার কিন্তু এর বিপরীত। তাদের ছেলেমেয়েরা পড়ছে বিদেশের দামি বিদ্যালয়ে। আর তারা বাংলাদেশে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার নামে চাঁদা তুলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। একই অবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের সেই দেশগুলোতেও। শায়খ, আমিরদের সন্তানরা ইউরোপ আমেরিকায় পড়ে। আর ধনী শায়খরা শাসন করে মুসলিম উম্মাহ!
যারা উপমহাদেশে তথা বাংলাদেশে কলোনিয়াল মৌলবাদ প্রতিষ্ঠার বর্তমান কারিগর। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের আধুনিক মেয়েরাই এখন ‘হিজাব’ ছুড়ে ফেলে দিয়ে সমকালের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পোশাক পরছে। অফিস, আদালত, ব্যাংক-বীমা, দফতর চালাচ্ছে। আর সেই হিজাবকে আরোপ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশে এখন ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে যারা মাঠ গরম করতে চাইছে, তারা ওই কলোনিয়াল মৌলবাদের দালাল। বিশে^র নানা দেশে ভাস্কর্য রয়েছে। ভাস্কর্য শিল্প একটি দেশের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিভিন্ন সময়ে আবিষ্কৃত নানা ভাস্কর্য থেকে বোঝা যায়, সুদূর অতীতকাল থেকেই পৃথিবীতে ভাস্কর্য শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ভাস্কর্য পৃথিবীর ইতিহাস ও সংস্কৃতির গৌরব বহন করে চলেছে। আজও দেশে দেশে ভাস্কর্য তৈরি হচ্ছে নিপুণ সৃষ্টিশীলতায়। এর মাধ্যমে ফুটে উঠছে নিজ দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি-সংস্কৃতি। মুসলিম বিশ^ও ভাস্কর্য শিল্প থেকে পৃথক নয়। সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, মিসর, তুরস্ক, ইরান, ইরাকসহ প্রায় সকল মুসলিম দেশেই রয়েছে ভাস্কর্য। সবচেয়ে বেশি মুসলিমের বাস যে দেশে, সেই ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শৈশবের ভাস্কর্য?
ইরানে আছে একটি বিশাল স্বাধীনতা স্তম্ভ, যার নাম ‘আজাদি’। স্থাপত্যটির ডিজাইনার হোসেন আমানত একজন মুসলমান। কবি ফেরদৌসী, ওমর খৈয়াম, পারস্যের নেপোলিয়ন বলে খ্যাত নাদির শাহর মতো খ্যাতিমান ব্যক্তিদের ভাস্কর্য রয়েছে ইরানে। মাশহাদ নগরীতে ভাস্কর্য সংবলিত নাদির শাহর সমাধিসৌধটি পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়।
কাতারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্য হলো ‘হারনেসিং দ্য ওয়ার্ল্ড’, মানে হচ্ছে বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ। কাতারের রাজধানী দোহায় কাতার সংস্কৃতি কেন্দ্রে কাতারা আম্পি থিয়েটারের সামনে স্থাপিত হয় পুরো পৃথিবীকে সংযোগ স্থাপন করা নারী প্রতিমূর্তির অবয়বের এই ভাস্কর্য।
তুরস্কজুড়ে রয়েছে কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্য। এককালের সারা মুসলিম জাহানের খলিফার দেশ তুরস্ক সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হলেও জনসংখ্যার বেশিরভাগই মুসলিম। ইরাকেও আছে অনেক ভাস্কর্য। বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে ডানার ভাস্কর্যটি সবার নজর কাড়ে। বাগদাদের পাশে আল-মনসুর শহরে আছে মনসুরের একটি বিশাল ভাস্কর্য।
এমন অনেক উদাহরণ দেওয়া যাবে। আজ এতদিন পরে হঠাৎ মৌলবাদীরা ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে এমন হুংকার কেন দিচ্ছে? আসলে তারা শক্তি পরীক্ষা করছে। এটাতে জয়ী হতে পারলে, তারা বলবে এই বাংলায় গান-বাজনাও করা যাবে না! ওয়েব মিডিয়ার কল্যাণে এখন যে কেউ ‘অনলাইন দৈনিক’ করার সুযোগ গ্রহণ করছে। তাতে তাৎক্ষণিক সংবাদ ছড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে বিশ^ব্যাপী। এমন কিছু অনলাইন সংবাদে কিছু মৌলবাদী রিপোর্টারের কা-কারখানা দেখে আমরা হতাশ হচ্ছি। তারা ওই ফতোয়াবাজদের পক্ষে ওকালতি করছে।
কলোনিয়াল মৌলবাদের ভয়ঙ্কর চেহারা হচ্ছে, সরাসরি পবিত্র কোরআন শরিফ নিয়ে রাস্তায় নেমে মানুষকে বিভ্রান্ত করা। যদি এসব অর্ধশিক্ষিত কিংবা অশিক্ষিত ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টিকারীরা প্রকৃত শিক্ষিত হিসেবে গড়ে উঠত, তবে তারা এমন মানসিকতা ধারণ করতে পারত না। অতীতে এটা তারা করেছে।
আফগানিস্তানের বর্তমান ভয়াবহ পরিণতির কথা আমরা জানি। ধর্মীয় গোঁড়ামির সুযোগ নিয়েই সেখানে আল কায়দার মতো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী চক্র তাদের অন্যতম সদর দফতর সেখানে স্থাপন করতে পেরেছিল, এর পাশাপাশি পাকিস্তানের অসমতল পর্বত উপত্যকাকে বেছে নিয়েছে তাদের অভয়ারণ্য হিসেবে। সার্কভুক্ত দেশ আফগানিস্তানের বলয়ের বাংলাদেশের জন্য তা অবশ্যই সুখকর সংবাদ নয়। কারণ নব্বইয়ের দশকে ‘আমরা সবাই তালেবান- বাংলা হবে আফগান’ এই স্লোগানগুলো যারা দিয়েছিল তাদের চেহারা তো ভিডিও ফুটেজে বাংলাদেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে থাকার কথা।
বেশ শঙ্কার কথা, হায়েনারা তাদের সেই দানবীয় চেহারা দেখার জন্য বেশ তৎপর হয়েছে। এর শিকড় উৎপাটনে দেশের প্রতিটি সচেতন মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকা দরকার। নজর রাখতে হবে সেসব নাটের গুরুদের প্রতিও, যারা এই চক্রকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন। হাইকোর্ট ইতোমধ্যে বলেছেন, রাষ্ট্রকে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা রাষ্ট্রীয় আইন অমান্য করে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে, তাদের আইনের মুখোমুখি করা হোক। এদের বিচার করার জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তা না হলে এদের এমন আশকারা দেশের ভবিষ্যতকে ক্রমেই অনিশ্চয়তার দিকেই ঠেলে দেবে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তস্নাত এ ভূখ- কোনো মৌলবাদী-দানবতন্ত্রের লীলাক্ষেত্র হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই সব সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশাবাদী এদেশের মানুষ। একই সঙ্গে প্রজন্মকে দাঁড়াতে হবে এদের বিরুদ্ধে। যারা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য আজ জাতির পিতার ভাস্কর্যে হাত দিতে পারে, তাদের কারণে আমাদের বিজয় অরক্ষিত থাকতে পারে না। কথাটি আমরা যেন ভুলে না যাই।
ফকির ইলিয়াস : সাহিত্যিক ও কলাম লেখক