শ্রীমঙ্গলে তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যূতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ নভেম্বর ২০২০, ১২:৫৪:২৪
মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও এলাকায় ট্রেনের ইঞ্জিনসহ তেলের ওয়াগনবাহী ৭টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিস্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বগি লাইনচ্যুতের ঘটনায় শনিবার দুপুর থেকে সিলেটের সাথে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। চলছে উদ্ধার কাজ।
মধ্যরাতের পর সিলেটের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে পারে বলেন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা।
জানা গেছে, মৌলভীবাজার ট্রেন দুর্ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গটন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগামী ৭ দিনের ভেতর এই তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট দেবে। বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ঢাকা) মঈনুল ইসলামের নেতৃত্বে এই কমিটিতে আছেন বিভাগীয় প্রকৌশলী (ঢাকা) সুলতান আলী, বিভাগীয় সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী (ঢাকা) আবু হেনা, বিভাগীয় প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) রেজাউল করিম ও বিভাগীয় যন্ত্র প্রকৌশলী (ওয়াগন) রেজাউল করিম।
তদন্ত কমিটির প্রধান বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ঢাকা) মঈনুল ইসলাম এর সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রতিবেদন দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার শাখাওয়াত হোসেন জানান আজ (শনিবার) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে সিলেট যাওয়ার পথে ৯৫১নং তেলবাহী ট্রেনটি শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও এলাকায় লাইনচ্যুত হয়। এরপর থেকে সিলেটের সাথে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ২টার দিকে কুলাউড়া থেকে উদ্ধারকারী হাইড্রোলিক টুল ভ্যান এবং বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে আখাউড়া থেকে আরেকটি উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেনসহ রেলের প্রকৌশলী টিম ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার কাজ করছেন।
এদিকে ৭টি ওয়াগনের মধ্যে ৪টি ওয়াগনে প্রায় একলাখ ষাট হাজার জ্বালানী তেল রয়েছে। তেলবাহী বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় তেল ছড়িয়ে পড়েছে রেললাইনে ও আশপাশে। এই তেল সংগ্রহ করতে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ।
এ দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও একটি ছোট কালভার্ড ও প্রায় ২শ ফুট রেল লাইন ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। উদ্ধার কাজে কত সময় লাগবে নির্দিষ্ঠ করে বলতে পারছেন না। তবে উদ্ধার তৎপরতা দ্রুতগতিতে চলছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে বিভাগের কুলাউড়া অঞ্চলের সহকারী প্রকৌশলী ( লোক) দুলাল চন্দ্র দাশ।
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন, উৎসুক জনতার ভীড় সামলাতে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ঘটনাস্থলে রেলওয়ে পুলিশ, শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রয়েছেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সহকারী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম জানান, সিলেটের সাথে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে উদ্ধার কাজসহ ক্ষতিগ্রস্থ রেল লাইনের সংস্কার কাজ চলছে। কাজ শেষ না হওয়া পযন্ত রাতে কাজ চলবে।
২০১৮ সালে ফেব্রয়ারি মাসে সাতগাঁও এলাকায় যাত্রীবাহী ট্রেনের ১১টি বগি লাইনচ্যূত হয়েছিল। জরাজীর্ণ রেল লাইন সঠিকভাবে সংস্কার না হওয়ায় বারবার এ ধরনের দূর্ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।