সিলেটে মক্তবের শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন, ইমাম গ্রেফতার
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ অক্টোবর ২০২০, ৩:০৮:৪২
সিলেটের কানাইঘাটে ১২ বছরের এক শিশুশিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় মাওলানা রিয়াজ উদ্দিন নামে মসজিদের এক ইমামকে গ্রেফতার করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৮অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে এ ইমামকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কানাইঘাট লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির বাউরভাগ একমখন্ড গ্রামের দুই সন্তানের বাবা মাওলানা রিয়াজ উদ্দিন (৩০) দীর্ঘদিন ধরে পাশের সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের মনোহরটুক গ্রামের জামে মসজিদে ইমামতি করে আসছিলেন।
গত ৩ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের বাবাহারা ১২ বছর বয়সী ওই মেয়েকে তার নিজ বাড়িতে মসজিদের ইমাম মাওলানা রিয়াজ উদ্দিন আরবী শিক্ষা দেয়ার সময় তার কোলে বসিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন। এ সময় মেয়েটির আত্মচিৎকারে পরিবারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন। যৌন নিপীড়নের শিকার মেয়েটির পরিবার পরিজন গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে বিচার চান। তবে তারা কর্ণপাত করেননি। ঘটনাটির কোন বিচারও পাননি তারা।
এ ঘটনাটি জানার পর থানার ওসি শামসুদ্দোহা বৃহস্পতিবার মসজিদের ইমামকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন।
মেয়েটিকে পুলিশ হেফাজতে থানায় নিয়ে আসার পর তার জবানবন্দি রেকর্ড করেছে পুলিশ। এছাড়া মসজিদের ইমাম মাওলানা রিয়াজ উদ্দিন যৌন নিপীড়নের দায় স্বীকারও করেন পুলিশের কাছে।
থানার ওসি শামসুদ্দোহা সাংবাদিকদের জানান, মসজিদের ইমাম মাওলানা রিয়াজ গত একমাস ধরে মসজিদের মক্তবে আরবী শিক্ষা দেয়ার পর অন্যান্য বাচ্চাদের বিদায় দিয়ে মেয়েটিকে যৌন নিপীড়ন করতেন। কাউকে এসব ঘটনা না বলার জন্য মেয়েটিকে শাসিয়ে ভয়ভীতি দেখাতেন তিনি।
মেয়েটির চাচা সোনাতন পুঞ্জি গ্রামের সেলিম উদ্দিন বাদী হয়ে মসজিদের ইমাম রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ১০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান থানার ওসি শামসুদ্দোহা।
তবে মসজিদের ইমামের আত্মীয়-স্বজনরা জানিয়েছেন, তিনি ষড়যন্ত্রের স্বীকার। মহল্লায় ইমাম নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গ্রুপিংয়ের জের ধরে একপক্ষ এ ঘটনাটি সাজিয়েছে।