মাত্র ৭৫০ ডলার আয়কর দিয়েছেন বিপুল সম্পদের মালিক ট্রাম্প
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২:৩৫:৪০
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে পরপর দুই বছর মাত্র ৭৫০ ডলার করে আয়কর দিয়েছেন বলে রবিবার নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে।
২০১৬ সালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং তার পরের বছর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের সময় এই পরিমাণ কর দিয়েছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, গত ১৫ বছরের মধ্য ১০ বছরের কোনো আয়করই দেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। অথচ এর মধ্যে কয়েকশ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন তিনি।
৯০ এর দশক থেকে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ও তার কোম্পানির গত কয়েক দশকের আয়কর বিষয়ক নথিপত্র জোগাড় করে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি।
এতে দেখা গেছে, ১৫ বছরের মধ্যে ১০ বছরই তিনি কোনো আয়কর দেননি। কারণ আয়ের চেয়ে অনেক বেশি লোকসান দেখিয়েছেন ট্রাম্প।
এমন সময় এ তথ্য প্রকাশিত হলো যার মাত্র কয়েকদিন পরই ট্রাম্প আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের জন্য তার প্রতিপক্ষ জো বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কে মুখোমুখি হবেন।
যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট এটিকে ‘ফেক নিউজ’ বা ভুয়া খবর বলে আখ্যা দিয়েছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি আয়কর দিয়েছি। আমার ট্যাক্স রিটার্ন শেষ হলেই আপনারা তা দেখতে পাবেন। আমার আয়করের হিসাব-নিকাশ চলছে।’
ট্রাম্প আরও বলেছেন, ‘রাজস্ব অফিস (আইআরএস) আমাকে একেবারেই ভালো চোখে দেখে না। ওরা আমার সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করে।’
১৯৭০ সালের পর থেকে তিনিই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি নিজের আয়কর বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করেননি। যুক্তরাষ্ট্রে যদিও এ বিষয়ে কোনো আইন নেই।
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে রাজনৈতিক নেতার চেয়েও ট্রাম্পের পরিচয় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রভাবশালী তারকা ব্যবসায়ী হিসেবে।
তিনি একজন ‘রিয়েল এস্টেট টাইকুন’ হিসেবে পরিচিত। বিলাসবহুল গল্ফ কোর্স ও হোটেলের মালিক তিনি।
২০১৮ সালে ট্রাম্প যে তথ্য প্রকাশ করেন তাতে দেখা গেছে তিনি ৪৩৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন।
নিউইয়র্ক টাইমস দাবি করছে, তার আয়কর বিষয়ক নথিতে দেখানো হয়েছে তিনি ৪৭ মিলিয়ন ডলারের বেশি লোকসান করেছেন।
হোয়াইট হাউসে প্রথম দুই বছর তিনি ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছেন যার উৎস যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের কোনো দেশ বলে জানা গেছে। যার মধ্যে আছে ভারত, তুরস্ক ও ফিলিপাইনের মতো দেশের নামও।
এমনকি ‘দ্য অ্যাপ্রেনটিস’ নামে একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার জন্য তিনি ৪২৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন। বিভিন্ন ব্রান্ড তার নাম ব্যবহার করায় আয় করেছেন ১৭৬ মিলিয়ন ডলার।
যদিও এসব আয়ে তিনি কর প্রদান করেননি বলে নিউইয়র্ক টাইমস দাবি করছে।
এ বিষয়ে ওয়াশিংটনে প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাট নেতা ও প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, ‘কর ফাঁকি দেয়ার নানা নিয়মাবলি নিয়ে ট্রাম্প বেশ ভালোই খেলেছেন। কর ফাঁকি দিতে তিনি অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছেন।’