প্রকল্পে ব্যয়ের নামে ‘ফুটানি’, ‘ফ্যাশন’ বন্ধ করতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৮:৫৬:১৪
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সরকারি প্রকল্প পাস মানেই যা পেয়েছেন তা ইচ্ছেমতো ব্যয় করবেন সেটা হবে না।
এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রকল্পের নামে অহেতুক অপচয়, বাড়াবাড়ি, ফুটানি ও ফ্যাশন বন্ধ করতে হবে। প্রতিটি টাকা সঠিকভাবে সঠিক জায়গায় ব্যয় করতে হবে। আমরা উন্নয়ন করব, আবার মাঠে গিয়ে প্রতিটি কাজের, প্রতিটি টাকার হিসাব নেওয়া হবে। তবে উন্নয়নে যাতে গতি না কমে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার করোনা পরিস্থিতি সুনামগঞ্জের সাংবাদিকদের দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বিশেষ সহায়তার চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি পঙ্কজ দের সভাপতিত্বে ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মহিম সঞ্চালনায় সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাব এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে জেলার ২৯জন সাংবাদিককে দুই লাখ ৯০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ জয়া সেনগুপ্তা, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ শামীমা শাহরিয়ার, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নুরুল হুদা, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আরও বলেন, হাওর এলাকা এক সময় অন্ধকারে ছিল। আড়ালে-লুকানো ছিল। শেখ হাসিনা হাওর এলাকাকে উন্নয়নের মাধ্যমে আলোয় নিয়ে এসেছেন। হাওর এলাকার মানুষের যোগাযোগের জন্য ফ্লাইওভার হবে। এটি প্রধানমন্ত্রীর চিন্তার ফল।
তিনি বলেন, আমরা এ নিয়ে সংশয়ে ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পদ্মা সেতু করতে পারলে হাওরে কেন ফ্লাইওভার করা যাবে না। তার চিন্তা থেকেই এটি নির্মাণের প্রকল্প প্রস্তুত হচ্ছে। এটির নাম হবে ‘শেখ হাসিনা ফ্লাইওভার’। এটি হলে হাওর এলাকার আর্থসামাজিক চিত্র পাল্টে যাবে।
সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইন আগামী সোমবার সংসদে উত্থাপিত হবে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এটি সংসদের উঠবে এবং পাসও হবে। কারণ ঢেউ আমাদের পক্ষে। প্রধানমন্ত্রী হাওর এলাকার মানুষের প্রতি উদার। তিনি হাওর-জনপদের মানুষের খোঁজ রাখেন, তাদের কষ্ট বোঝেন।