ইউনাইটেড হাসপাতালের ৮টি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ মে ২০২০, ৫:২৯:৪৩
করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় অনেকটা দায়সারাভাবেই আলাদা আইসোলেশন ইউনিট তৈরি করেছিল ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। অন্যদিকে মেয়র আতিকুলের উপস্থিতিতে বেরিয়ে আসে করোনা রোগীদের জন্য তৈরি করা ইউনাইটেড হাসপাতালের মূল ভবনের বাইরে আইসোলেশন ইউনিটের জন্য ব্যবহৃত ১২টি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের আটটিই মেয়াদোত্তীর্ণ।
ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত দল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আলামত হিসেবে তা জব্দ করে সিআইডির ফরেনসিক দল।
বুধবার (২৭ মে) রাতে রাজধানীর গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য তৈরিকৃত আলাদা তাঁবুতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন পুরো তাঁবুতে ছড়িয়ে পড়ে এবং সেখানে করোনা আক্রান্ত তিনজন ও উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন দুজনসহ পাঁচজন রোগী মারা যান।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দুপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন দায়সারা আইসোলেশন ইউনিট তৈরির বিষয়টি তুলে ধরেন।
এতো গুরুত্বপূর্ণ রোগীদের এভাবে রাখা যায় কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু তারা করোনা রোগী রাখার জন্য আলাদা আইসোলেশন করতে সরকারিভাবে নির্দেশনা পেয়েছেন, করার জন্যই করেছেন আরকি। এটা খুব রিস্কি ছিল। যে পাঁচজন মারা গেছেন তারা সানসেডের ঠিক নিচে ছিলেন। আর বাইরে একটা এক্সটেনশন আছে টিনশেডের।’
তিনি বলেন, ‘অস্থায়ীভাবে তৈরি ওই ইউনিটের পার্টিশনগুলো পারটেক্স জাতীয়, যা অতিদাহ্য। আগুন যখন লেগেছে তাৎক্ষণিকভাবে একসঙ্গে পুরোটায় লেগে গেছে। এ কারণে একজন রোগীও বের হতে পারেননি। তাছাড়া, করোনা রোগীর আশপাশে সাধারণত কেউ থাকেন না। ওখানে ওই পাঁচজন রোগীই চিকিৎসাধীন ছিলেন। যখনই আগুন লেগেছে তখন তারা আর বের হতে পারেননি।’
অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে দেবাশীষ বর্ধন বলেন, হয়তো ইলেকট্রিক কোনো কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি।
এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ইউনাইটেড হাসপাতালের সম্প্রসারিত অংশে ফায়ার ফাইটার, ফায়ার ড্রিল এবং ফায়ার-টিম ছিল না। ১২টি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের মধ্যে মাত্র তিনটির মেয়াদ ছিল। অন্য আটটি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। হাইড্রেন্ট (যা থেকে জরুরি পানি সরবরাহ করা যায়) কে চালাবে, কে কাজ করবে, কার দায়িত্ব-এগুলো সুনির্দিষ্ট করা ছিল না।