করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফল ইতিবাচক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ মে ২০২০, ৩:১৪:০১
করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফল ইতিবাচক
যুক্তরাষ্ট্রের বায়োটেক কোম্পানি মডার্না করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের যে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালিয়েছিল, তার প্রাথমিক ফল ইতিবাচক বলে জানা গেছে। এই প্রতিষেধক তৈরিতে মার্কিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করছে মর্ডানা।
মডার্নার চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. টাল জাকস সোমবার মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনকে বলেন, আগামী পরীক্ষাগুলোতে সঠিক ফলাফল আসলে আগামী বছরের জানুয়ারি নাগাদ এই ভ্যাকসিন সাধারণ জনগণের নাগালে চলে আসার সম্ভবনা রয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এটা আসলেই দারুন একটা খবর যার জন্য আমরা বেশ কিছু দিন ধরে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলাম।’
মডার্নার এই ভ্যাকসিন বা টিকা পরীক্ষামূলকভাবে গত মার্চে মানুষের শরীরে প্রথম প্রবেশ করানো হয়। প্রথম পর্যায়ের এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের শরীরে টিকার দুটি ডোজ দেওয়া হয়।
তাদের মধ্যে আটজনের দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে যে ফল পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতে এই ঘোষণা দিয়েছে মর্ডানা। পরীক্ষার এই ধাপে দেখা হয়, টিকা মানুষের জন্য নিরাপদ কি না এবং সেটি শরীরে ওই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলছে কি না।
মডার্নার বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস বলেছে, যে সব স্বোচ্ছাসেবীদের ওপর এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছে তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। আর সেগুলো ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে তা করোনাভাইরাসের বংশবিস্তার ঠৈকিয়ে দিতে সক্ষম।
ওই আটজনের সবার দেহেই করোনাভাইরাসের ‘নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি’ এমন মাত্রায় তৈরি হয়েছে, যা এই ভাইরাসে আক্রান্ত সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির সমান বা তার চেয়েও বেশি।
নিউট্রালাইজিং অ্যান্ডিবডিগুলো ভাইরাসকে আটকে ফেলে সেটিকে মানব দেহে আক্রমণের জন্য বিকল করে দেয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্যমতে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের কেমব্রিজভিত্তিক মর্ডানা ছাড়াও বিশ্বের আরও সাতটি প্রতিষ্ঠান করোনার টিকা তৈরির চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাদের তৈরি ভ্যাকসিন বা টিকাগুলো মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর্বে রয়েছে। এগুলোর মধ্যে দুটি যুক্তরাষ্ট্রের, একটি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং বাকি চারটি চীনা প্রতিষ্ঠানের। অক্সফোর্ডের গবেষক দলের তৈরি টিকা ইতিমধ্যে মানবদেহে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। সেটির ফলাফল নিয়েও আশাবাদী গবেষক দলটি।