সীমান্ত বন্ধ, ইউক্রেনে বাবা-মায়ের অপেক্ষায় একশ নবজাতক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ মে ২০২০, ৩:৪১:৫২
করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাব থেকে রক্ষা পায়নি সারোগেট বা গর্ভ ভাড়া করে জন্ম দেওয়ার ব্যবসাও। জন্ম নেওয়া অনেক শিশু ও তাদের নতুন মায়েদের মধ্যে হাজার হাজার মাইল দূরত্ব তৈরি করেছে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা। শিশুরা জানে না বাবা-মায়ের সঙ্গে তাদের কবে দেখা হবে। এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে ইউক্রেনে। দেশটিতে সারোগেসি বা গর্ভ ভাড়া নিয়ে জন্ম হওয়ায় প্রায় একশ নবজাতকের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে সেখানকার মানবাধিকারকর্মীরা।
করোনা মহামারির কারণে ইউক্রেনের সীমান্ত বন্ধ। তাতে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর বিপাকে পড়েছে সারোগেট মায়েরা। আর ওইসব সন্তানের বিদেশি মা-বাবারা সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে তাদের কাছে যেতে পারছে না। দীর্ঘদিন সীমান্ত বন্ধ থাকলে নবজাতকদের কাছে পৌঁছাতে অনেক দেরি হয়ে যাবে এসব বিদেশি দম্পতির।
রাজধানী কিয়েভে গর্ভ ভাড়া করে শিশু জন্ম দেয় এমন একটি কোম্পানি বায়োটেক্সকমের আইনজীবী ডেনিস হারমান বলেছেন, ‘জন্ম নিয়েছে কিংবা ভূমিষ্ঠের অপেক্ষায় থাকা শিশুদের বাবা-মায়ের জন্য আমরা আমাদের সেরাটা করছি।’ ইউক্রেনের মানবাধিকারকর্মী লিউডমিলা ডেনিসোভা বলেছেন, এখন কমপক্ষে একশ সারোগেট শিশু বিভিন্ন ক্লিনিকে রয়েছে। ভ্রমণে কড়াকড়ি আরো বাড়লে এই সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাবে আশঙ্কা তার।
বায়োটেক্সকমেই এমন শিশুর সংখ্যা অন্তত ৫১, যাদের বাবা-মা দেশের বাইরে। সরকারি আদেশ অনুযায়ী, ২২ মে আগে সীমান্ত পেরিয়ে তারা ইউক্রেনে ঢুকতে পারবে না। জানা গেছে, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, স্পেন, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মতো দেশসহ ১২টি দেশের নাগরিক এসব শিশুদের বাবা-মা।