বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় মার্কিন তহবিল স্থগিতের নির্দেশ ট্রাম্পের
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ এপ্রিল ২০২০, ১২:০২:০৫
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (ডব্লিউএইচও) মার্কিন তহবিল স্থগিতের উদ্যোগ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে নিজ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিন আবারও করোনাভাইরাস ইস্যুতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ আনেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘ডব্লিউএইচও তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের অবশ্যই এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে।’
চীনে ভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর জাতিসংঘের এই সংস্থাটির অব্যবস্থাপনার সমালোচনার পাশাপাশি তারা সত্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ করেন ট্রাম্প। এর আগে তিনি বলেছিলেন যে, সংস্থাটি প্রতি চীনের পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে।
সংস্থাটিতে তহবিল স্থগিতের ট্রাম্পের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপের জন্য এটি সঠিক সময় নয়।
এককভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তহবিলে সবচেয়ে বড় অংকের অর্থায়ন করে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর এই তহবিলে দেশটি ৪০ কোটি ডলার দিয়েছে। এটি ছিল সংস্থাটির বার্ষিক বাজেটের প্রায় ১৫ শতাংশ।
ডব্লিউএইচও-এর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ সালে সংস্থাটিতে চীনের অবদান ছিল ৭ দশমিক ৬ কোটি ডলার এবং স্বপ্রণোদিত অনুদান ছিল এক কোটি ডলার।
চীনের উহানে যখন করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরু হয়, তখন এর গুরুত্ব যথাযথভাবে অনুধাবনে সংস্থাটি ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যদি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে চীনের পরিস্থিতি যাচাই করতো এবং তাদের অস্বচ্ছতা প্রকাশ করতো, তাহলে প্রাদুর্ভাব গোড়াতেই নিয়ন্ত্রণ করা যেতো। প্রাণহানিও অনেক কম হতো। তা না করে ডব্লিউএইচও চীন সরকারের কার্যক্রমকে সমর্থন দিয়েছে।
এ সময় সাংবাদিকরা ট্রাম্পকে মনে করিয়ে দেন যে, তিনি নিজেই কিছুদিন আগে ভাইরাস সংক্রমণ রোধে চীনের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র লকডাউন থাকবে কতদিন?
হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রে লকডাউন তুলে নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ঘোষণার পরিকল্পনা ‘প্রায় চূড়ান্ত’ হয়েছে।
সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন মন্তব্য করেন যে অঙ্গরাজ্যগুলোর গভর্নররা না চাইলেও তিনি লকডাউন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তখন তা নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী অঙ্গরাজ্যগুলোর প্রশাসনিক দায়িত্ব রাজ্যের গভর্নরদের। সূত্র: বিবিসি।