নারীদের ‘হিজাব পিন’ জাতীয় দুর্যোগ : বললেন ঢাকার ডাক্তার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১:৩৩:৫০
সুরমা নিউজ:
হিজাব পরিধানকারী নারীদের জন্য ‘হিজাব পিন’ জাতীয় দুর্যোগে পরিণত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন একজন ডাক্তার। ঢাকা মেডিকেলের মেডিসিনের ডাক্তার আমিনুল ইসলাম সম্প্রতি নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে ‘হিজাব পিন’ নিয়ে সতর্কতামূলক পোস্ট দিয়ে লিখেছেন: নতুন উপদ্রুব হিজাব পিন। হিজাব পরিধানের সময় দাঁত দিয়ে পিন চেপে রাখেন নারীরা। তারপর মনের অজান্তেই তা মুখ দিয়ে শরীরের ভিতর চলে যায়। এক্সরেতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শ্বাসনালী বা ফুসফুসের ভিতরে পাওয়া যাচ্ছে তা। সেটি আবার এক জায়গায় স্থির থাকে না। এক্সরেতে যে জায়গায় পাওয়া গেলো তার মিনিট দশেক পরেই ব্রংকোসকপিতে দেখা গেলো, এটা স্থান পরিবর্তন করে ফেলেছে। এক বার তো দেখা গেলে এটি আর বুকেই নাই। সেই সুদুর তলপেটে চলে গেছে। এ নিয়ে ভোগান্তিও কম হয় না।
তিনি আরও লিখেন: গোঁড়ামির নতুন সংস্কৃতিতে প্রবেশ করা বাংলাদেশের নারী শিশু, বালিকা, কিশোরী, মা, বোনদের এ নতুন DVHP (দেহের ভিতর হিজাব পিন) রোগ থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন: এক মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপনার এই পিচ্চি আট দশ বছরের বাচ্চাকে এতো পিন টিন ওয়ালা হিজাব টিজাব পরাতেই বা হবে কেন? তার উত্তর, কি করবো স্যার, ওটাতো স্কুল ড্রেস’।
তিনি হিজাব পিন এর সমস্যা নিয়ে প্রতি সপ্তাহেই একাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বলে জানান। এই বিষয়ে ডাক্তার আমিনুল ইসলাম বলেন: এই সমস্যাটি মারাত্মক আকার ধারন করছে। হিজাব মাথায় পরার সময় পিনগুলো মুখে রেখে কাজ শুরু করে মেয়েরা। তখন নিজের অজান্তেই পিনটা গলার ভেতর চলে যায় এবং গলার পরে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শ্বাসনালীতে চলে যায়। অনেকের ক্ষেত্রে খাদ্যনালীতে চলে যায়। শ্বাস ও খাদ্যনালী পাশাপাশি থাকে। এধরনের রোগি যখন আসে আমরা এক্সরে করে দেখি।
এধরনের সমস্যার চিকিৎসা হিসেবে তিনি বলেন: পিন ভেতরে চলে গেলে আমরা ব্রংকোসকপি করে দেখি। মুখ বা নাকের মাধ্যমে নল ঢুকিয়ে বের করে আনার চেষ্টা করি পিন। সেক্ষেত্রে শতভাগ সফল হওয়া যায় না। অনেক সময় অপারেশন করতে হয়।
ঢাকা মেডিকেলের থোরাসিক সার্জারি বিভাগে এর সার্জারি চিকিৎসা আছে জানিয়ে তিনি বলেন: সেটাতে রোগীকে অজ্ঞান করতে হয়। মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালেও এই বিষয়ে নিয়মিত চিকিৎসা করানো হয়।
সরকারি হাসপাতালগুলোতে এই ধরনের চিকিৎসার জন্য ১ হাজার টাকা ব্যয় হয় বলে জানান ডাক্তার আমিনুল ইসলাম।