কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর
বাংলাদেশের সাথে পারস্পরিক সহযোগিতা আরো গভীর করার বার্তা চীনের
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ৮:৩১:৪২
বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে চীন অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় বলে জানিয়েছে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এ সময় তিনি ঐতিহ্যবাহী এ বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিতে এবং পারস্পরিক উপকারী সহযোগিতাকে আরো গভীর করতে প্রস্তুত বলেও উল্লেখ করেন।
শনিবার বাংলাদেশ-চীন কূটনীতির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দেয়া এক অভিনন্দন বার্তায় এসব কথা বলেন চীনা প্রেসিডেন্ট।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিনকে দেয়া বার্তায় শি বলেন, চীন ও বাংলাদেশ ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী ও উভয়ের বিনিময়ের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক দৃশ্যপটের পরিবর্তনের মধ্যেও কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৫০ বছরে চীন ও বাংলাদেশ সর্বদা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচ নীতির ভিত্তিতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমতা ও সহযোগিতায় এই সম্পর্ক উদাহরণ হয়ে থাকবে।
চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও বাংলাদেশ রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা সুসংহত করে চলেছে। উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহারিক সহযোগিতা প্রসারিত করেছে এবং তাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব আরো গভীর করেছে।
শি-কে দেয়া অভিনন্দন বার্তায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ ও চীন পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে গভীর বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছে। পাশাপাশি স্থায়ী সহযোগিতাও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দুই দেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা বয়ে এনেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অভিন্ন সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য অত্যন্ত কৃতজ্ঞ এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য চীনের দীর্ঘমেয়াদী মূল্যবান সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
তিনি বিশ্বাস ব্যক্ত করেন যে দুই দেশের নেতা ও জনগণের যৌথ প্রচেষ্টায় দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরো বেশি ফল বয়ে আনবে।
একই দিনে, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসও অভিনন্দন বার্তা বিনিময় করেছেন।
লি বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নকে চীন অত্যন্ত মূল্য দেয়। তারা চীন-বাংলাদেশ ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের অব্যাহত প্রবৃদ্ধিকে নিয়ে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতেও প্রস্তুত।
ইউনূস তার বক্তব্যে বলেন, ৫০ বছর আগে দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব আরো দৃঢ় হয়েছে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ধারাবাহিকভাবে বিকশিত হয়েছে এবং সহযোগিতা ফলপ্রসূ ফলাফল এনেছে, যা বাস্তবিক অর্থেই উদযাপনের যোগ্য।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বে নতুন অর্জন তুলে ধরতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।