পরবর্তী সরকারও জুলাই আন্দোলন-গ্রাফিতি ধারণ করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:১৭:০১
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, যারা জুলাই আন্দোলন ও এর গ্রাফিতির বিরুদ্ধে, তারা আর কখনো ফিরে আসবে না। এমনকি জুলাই আন্দোলনে যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের এই আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। পরবর্তীতে যারাই সরকার গঠন করবে তারা এই জুলাই আত্মত্যাগকে বুকে ধারণ করবে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ২০২৪ সালের জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে অঙ্কিত গ্রাফিতি ‘জুলাই বীরত্ব’ ও ‘জুলাই আত্মত্যাগ’ ম্যুরাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আগামী সরকার আসলে গ্রাফিতি থাকবে না কেন? আপনাদের মনে কখনো সন্দেহ রাখবেন না যে, এই গ্রাফিতি থাকবে না। সামনে নির্বাচিত সরকার আসলেও এই গ্রাফিতি না রাখার কোনো কারণ নেই।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই গ্রাফিতি জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে দেওয়ার একটি প্রয়াস। জুলাই বীরত্ব ও জুলাই আত্মত্যাগ নামক গ্রাফিতি আমাদের মনে করিয়ে দেবে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য তরুণ সমাজ কিভাবে আত্মত্যাগে নজির স্থাপন করেছিল। আগামী প্রজন্মকে জানাতে হবে, সেই গণঅভ্যুত্থান কেবল একটি আন্দোলন নয় বরং ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে সেই আন্দোলন গণমানুষের প্রত্যাশাকে একত্রিত করে আজকে নতুন দিশা দিয়েছে। আমাদের দায়িত্ব হবে তাদের এই ত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা। একই সঙ্গে এই দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাদের আদর্শকে ধারণ করা।
এর আগে গ্রাফিতি পরিদর্শন শেষে জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন তিনি। পরে জুলাই শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে অঙ্কিত গ্রাফিতির মাধ্যমে জুলাই আন্দোলনে ভূমিকা রাখা বীর যোদ্ধা ও শহীদ হওয়া বীরদের আত্মত্যাগ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গ্রাফিতিটিতে জায়গা পেয়েছে জুলাই আন্দোলনের বীর যোদ্ধা রিকশাচালক মোহাম্মদ সুজন, আন্দোলনে নারী শিক্ষার্থীদের বীরত্ব, রংপুরে শহীদ আবু সাঈদ ও নিহত শহীদ গোলাম নাফিজ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ, রেলপথ সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার মোহম্মদ শামসুল আলম সরকার, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক তাহসিনা বেগম, পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম প্রমুখ।