লাখাইয়ে সালিশে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ১:০০:৩৮
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের লাখাইয়ে ভাঙারি ব্যবসার পণ্য ক্রয় বিক্রয় নিয়ে বিরোধের জের ধরে সালিশ বৈঠকে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। গ্রেফতার এড়াতে তারা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ সময় অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে আটক করা হয়। টেটা, বল্লম, ফিকলসহ পুলিশ অর্ধশত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে।
মঙ্গলবার দুপুরে ওই উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বন্দে আলী জানান, ওই গ্রামের কাশেম, খলিল ও লিটন ঢাকার মিরপুর এলাকায় বসবাস করেন। সেখানে তারা ভাঙারি ব্যবসা করেন। কাশেম ও খলিল পুরনো একটি ভাঙ্গা টেলিভিশন বিক্রি করতে চান। লিটন এটি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। লিটন টেলিভিশনটি ২শ টাকা দাম বলার পর কাশেম ও খলিল তা কম হয়েছে বলে তর্কে লিপ্ত হন। এ সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উভয়পক্ষ গ্রামে আসেন। তাদের বিরোধ মীমাংসার উদ্যোগ নেন স্থানীয় মুরুব্বীরা। মঙ্গলবার দুপুরে এ নিয়ে সালিশ বৈঠক বসে। হঠাৎ কাশেম ও খলিলের পক্ষে মোকিত, ইকবাল, হারুন, রুহুল আমিনের নেতৃত্বে লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালালে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকায় একটি ভাঙ্গা টেলিভিশন ক্রয় বিক্রয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। সেখানে উভয়পক্ষের অভিভাবকরা বিষয়টি মীমাংসা করে দিলেও কাশেম ও খলিল তা মানেনি। তারা লিটনকে ঈদের পূর্বে বাড়ি যাওয়ার জন্য বলে চলে আসে। এ কথা শুনে ঈদের আগে লিটনের অভিভাবকরা কাশেম ও খলিলের বাড়িতে গিয়ে মাপ চান। তারা উপযুক্ত বিচার দেয়ারও আশ্বাস দেন। এ সময় তারা আর ঝগড়ায় লিপ্ত হবে না বলে আশ্বাসও দেন। কিন্তু শেষ রমজানের দিন ভোর রাতে কাশেম ও খলিলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে লিটনের বাড়িতে গিয়ে চড়াও হন। অবশেষে তাদের থামিয়ে মঙ্গলবার সালিশের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সালিশ চলাকালে কাশেম ও খলিলের পক্ষের লোকজন হামলা চালালে সংঘর্ষ বাঁধে।