ব্রিটিশ-বাংলাদেশী হুজহু’র ১৪তম প্রকাশনা ও এওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৫০:৫৬
স্টাফ রিপোর্টার : ব্রিটেনের বাংলাদেশী কমিউনিটির সাফল্যগাঁথা ও অগ্রযাত্রার চিত্র ব্রিটিশ-বাংলাদেশীদের হুজহু প্রকাশনায় ফুটে উঠে। দীর্ঘ চৌদ্দ বছর ধরে এই প্রকাশনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশী কমিউনিটির সাথে ব্রিটেনের মূলধারায় সেতুবন্ধন তৈরী করতে এবং পেয়েছে সফলতাও। এই প্রকাশনা তরুণ প্রজন্মদের মাঝে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা সঞ্চার করবে।
গত ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার লন্ডনের অভিজাত ভেন্যু মেরিডিয়ান গ্র্যান্ড হলে ‘ব্রিটিশ বাংলাদেশী হুজহু’র প্রকাশনা ও এওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের ১৪তম আসরের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন লর্ড সোন ভ্যালী।
নিজ নিজ পেশায় অসাধারণ সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে এগিয়ে চলছেন, এমন আটজন ব্রিটিশ-বাংলাদেশিকে এওয়ার্ড দিয়ে সম্মানিত করেছে ব্রিটিশ বাংলাদেশী হুজহু।
বাংলা মিরর গ্রুপের এই প্রকাশনায় এবার সংযুক্ত হয়েছে ২৭৩ জন ব্রিটিশ-বাংলাদেশীর সাফল্যগাঁথার কথা। এবারের প্রকাশনায় সংযুক্ত হয়েছে নতুন নতুন প্রতিভার অবদানের কথা। নতুনত্ব সমৃদ্ধ করেছে এ প্রকাশনাকে। ব্রিটিশ-বাংলাদেশী তৃতীয় প্রজন্মকে যুক্ত করে হুজহু কলেবরে বৃদ্ধি পেয়েছে, আঙ্গিকেও শোভিত হয়েছে নতুনদের অবদানে।
এবারের এওয়ার্ডপ্রাপ্তরা তাদের অনুভ‚তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, হুজহু’র এওয়ার্ডপ্রাপ্তি সত্যিই সম্মানের ও গর্বের। এটি আমাদের কাজের স্বীকৃতি। যাত্রালগ্ন থেকে ব্রিটিশ-বাংলাদেশী হুজহু কমিউনিটির গুণিজনদের উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা লিপিবদ্ধ করে তাদের স্মরণীয় করে রাখছে – যা আগামী প্রজন্ম আমাদের সম্পর্কে জানতে পারবে।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশী হুজহু এর প্রধান সম্পাদক আব্দুল করিম গণি বলেন, ব্রিটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রবীণ ও নবীনরা ব্রিটিশ কমিউনিটিতে অনন্য ভূমিকা রেখে আসছে। আমাদের এই প্রকাশনা থেকে সহজেই কমিউনিটির অবদানের বিষয়টি জানতে পারে সবাই।
মেরিডিয়ান গ্র্যান্ড ও ওয়ার্ক পারমিট ক্লাউডের সহযোগিতায় আয়োজিত এবারের আসরের সঞ্চালনা করেন জনপ্রিয় উপস্থাপিকা নাদিয়া আলি ও ব্যারিস্টার আনোয়ার মিয়া। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকাশনার নির্বাহী সম্পাদক সোহানা আহমেদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ মূলধারা ও কমিউনিটির বিভিন্ন স্তরের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ।
এবারের এওয়ার্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রাজনীতিতে আপসানা বেগম এমপি, ক্যাটারিং ও প্রপার্টি সেক্টরে তফজ্জুল মিয়া, মিডিয়ায় মাহবুব রহমান, ব্যবসা ও রাজনীতিতে ফয়সল হোসেন চৌধুরী এমবিই-এমএসপি, চ্যারিটি ওয়ার্কে ভ্যালারী আর্ন ট্রেইলর ওবিই, আইন ও প্রপার্টি ব্যবসায় ইমন আহমেদ, একাউন্টেসীতে তপন সাহা ও খেলাধুলায় আব্দুস সালাম।
জমকালো এই আয়োজনে অতিথি হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের ডেপুটি হাই কমিশনার মোহাম্মদ হযরত আলী খান, কার্ডিফ সিটির লর্ড মেয়র বাবলিন মল্লিক, কনজারভেটিভ পার্টির লন্ডন সিটির মেয়র প্রার্থী সোজান হল, লন্ডন বরা অব ক্যামডেনের মেয়র নাজমা রহমান, রেডব্রিজ বারা কাউন্সিলের মেয়র জ্যোৎস্না ইসলাম, চ্যানেল এস’র চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি, চ্যানেল এস’র প্রতিষ্ঠাতা মাহি ফেরদৌস জলিল ও ব্যারিস্টার আনিস রহমান ওবিই।
অনুষ্ঠানে আপসানা বেগম এমপি-এর হাতে এওয়ার্ড তুলে দেন চ্যানেল এস’র চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি ও হুজহু’র প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল করিম গণি, তফজ্জুল মিয়া এর হাতে এওয়ার্ড তুলে দেন লর্ড সোন ভ্যালী ও ওয়ার্ক পারমিট ক্লাউড’র প্রধান ব্যারিস্টার লুৎফুর রহমান, মাহবুব রহমানের হাতে এওয়ার্ড তুলে দেন চ্যানেল এস’র প্রতিষ্ঠাতা মাহি ফেরদৌস জলিল ও ইউরোশিয়া ফুড সার্ভিসের ফাউন্ডার আবু লেইছ, ফয়সল হোসেন চৌধুরী এমবিই-এমএসপি’র পক্ষে এওয়ার্ড গ্রহণ করেন ফজলুর রহমান আকিক এবং এওয়ার্ড তুলে দেন কার্ডিফ সিটির লর্ড মেয়র বাবলিন মল্লিক, ভ্যালারী আর্ন ট্রেইলর ওবিই এর হাতে এওয়ার্ড তুলে দেন মেয়র নাজমা রহমান ও মেরিডিয়ান গ্র্যান্ড’র ডিরেক্টর নিকিতা মুলচান্দানি, আব্দুল করিম গণি ও জি টেন ডিজাইন এন্ড প্রিন্টার্সেরডিরেক্টর জরিদ মিয়া, ইমন আহমেদ’র হাতে এওয়ার্ড তুলে দেন লন্ডন সিটির মেয়র প্রার্থী সোজান হল ও এপেক্স একাউন্টেসীর ডিরেক্টর তারেক মাহমুদ, তপন সাহা’র হাতে এওয়ার্ড তুলে দেন লর্ড সোন ভ্যালী ও প্রাইম এস্টেট এজেন্টের ডিরেক্টর কাজী আরিফ এবং আব্দুস সালাম এর হাতে এওয়ার্ড তুলে দেন মেয়র জ্যোৎস্না ইসলাম ও জেএমজি এয়ার কার্গোর চেয়ারম্যান মনির আহমদ।
হুজহু’র প্রকাশনা ও এওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের ১৪তম আসরের মূল সহযোগিতায় ছিল মেরিডিয়ান গ্র্যান্ড। এতে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল- চ্যানেল এস, জি টেন ডিজাইন এন্ড প্রিন্টার্স, ইমপ্রেস মিডিয়া। ইভেন্ট পরিচালনায় পার্ল এডভারটাইজিং এবং একমাত্র চ্যারিটি পার্টনার হিসেবে ছিল ইকরা ইন্টারন্যাশনাল। সহযোগি পার্টনার ছিল ওয়ার্ক পারমিট ক্লাউড (ডব্লিউ পিসি) এবং স্পন্সরে ছিল – প্রাইম এস্টেট এজেন্ট, ড্রিম স্পা, জেএমজি এয়ার কার্গো, এপেক্স একাউন্টেন্সী, ইউরোশিয়া ফুড সার্ভিস, ইকো ইনোভেশনস, রেক, ইউকে এনার্জি, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড। এছাড়াও বিজ্ঞাপন সহযোগিরা হচ্ছে – ভ্যানটেজ এক্সিডেন্ট ম্যানেজম্যান্ট, ইউনি সফট, প্রিন্ট আর্ট ফর ইউ, সুলতান ক্যাটারার্স, কুশিয়ারা ট্রেভেলস, ডিজিকম, কার প্ল্যানেট, জেড কোচেজ লন্ডন, লেয়ার ভিউ অটো গ্রুপ লিমিটেড, এবিএম মৌলভীবাজার।