আদানি ইস্যুতে ভারতের পার্লামেন্টে হৈচৈ, উভয় কক্ষের অধিবেশন মুলতবি
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ৮:৩৬:২২
আদানি গোষ্ঠীর সঙ্কট-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের হট্টগোল ও হৈচৈয়ের কারণে প্রথমে দুপুরে ও পরে সেদিনের মতো ভারতের পার্লামেন্ট ও রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করা হয়।
বৃহস্পতিবার অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকেই সংসদের উভয়কক্ষে বিভিন্ন ইস্যুতে হৈচৈ শুরু করেন বিরোধীরা। মূলত শিল্পপতি গৌতম আদানি গোষ্ঠীর সঙ্কট নিয়ে আলোচনা চেয়েছিলেন বিরোধীরা। সেই দাবি নিয়ে সংসদের দুই কক্ষে হট্টগোল শুরু হতেই দুইটা পর্যন্ত মুলতবি হয়ে যায় পার্লামেন্ট এবং রাজ্যসভার অধিবেশন।
সংসদের উভয়সভায় এদিন রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের ওপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়, পার্লামেন্টে এর সূচনা করেন চন্দ্রপ্রকাশ যোশী। রাজ্যসভায় আলোচনার সূচনা করেন কে লক্ষ্মণ। বাজেট পেশের পরের দিনই আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার নিয়ে বিতর্কের ইস্যুতে বিরোধীদের হই-হট্টগোলের জেরে পার্লামেন্ট এবং রাজ্যসভা দুপুর দুইটা পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায়। পরে অধিবেশন শুরু হলেও, শান্তি ফেরেনি। আর তাই দিনের মত অধিবেশন মুলতুবি করে দেয়া হয়।
বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই এদিন সকালে সংসদে বিরোধীদের কক্ষে একজোট হয়েছিল সমস্ত সমমনস্ক বিরোধী দল। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গের নেতৃত্বে হয় বৈঠক। সেই বৈঠকেই আদানিকে নিয়ে বিশদ আলোচনার ব্যাপারে সহমত হন বিরোধীরা। সংসদের অধিবেশন শুরু হতেই সেই দাবিতে সরব হন বিরোধীরা। এরপরই আদানিকাণ্ড নিয়ে হইচই শুরু হয় পার্লামেন্ট এবং রাজ্যসভায়।
উল্লেখ্য, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা ঢেলেছে যে আদানি শিল্পগোষ্ঠী, তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে আমেরিকার একটি সংস্থা। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ নামে ওই গবেষণা সংস্থাটির দাবি, তারা আদানির সংস্থার অংশীদার হিসাবে গত দু’বছর ধরে তদন্ত চালিয়েছে। ওই তদন্তে তারা জানতে পেরেছে, আদানি বাজারকে ইচ্ছেমতো প্রভাবিত করে। এমনকি, তাদের হিসাবরক্ষণেও রয়েছে বিপুল অনিয়ম।