দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২৬ জনের মৃত্যু
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জুলাই ২০২১, ৮:০১:১৭
কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৪৯৫তম দিনে দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ২২৬ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ২৭৮ জন।
এই সময়ে ১২ হাজার ২৩৬ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে ১২ জুলাই দেশে সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল ১৩ হাজার ৭৬৮ জন। গত ১১ জুলাই সর্বোচ্চ ২৩০ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৪৪ হাজার ৯৪১টি নমুনা পরীক্ষায় ১২ হাজার ২৩৬ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ২৩ শতাংশ।
তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৫২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৯ লাখ পাঁচ হাজার ৫৬১টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৭ লাখ ৪৪ হাজার ৪২০টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৭১ হাজার ৭৭৪ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় আট হাজার ৩৯৫ জনসহ মোট নয় লাখ পাঁচ হাজার ৮০৭ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৫১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২২৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ১৪০ জন পুরুষ ও ৮৬ জন নারী। তাদের মধ্যে ২০৬ জনের হাসপাতালে (সরকারিতে ১৬৮ জন, বেসরকারিতে ৩৮ জন) ও বাড়িতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ১৭ হাজার ৫২। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬১ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ১৫ হাজার ৪৭১ জন, যার শতকরা হার ৮৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন, যার শতকরা হার আট দশমিক ১০ শতাংশ। এছাড়াও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন ২০ জন, যার শতকরা হার দশমিক ১২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৫৩ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং পাঁচ হাজার ২২৫ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩০ দশমিক ২৪ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২২৫ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশ বয়সী একজন, এগারো থেকে বিশ বয়সী একজন, একুশ থেকে ত্রিশ বয়সী ছয়জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১২ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৩৬ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৯ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৫০ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৪৪ জন, আশি উর্ধ্ব ২২, নব্বই উর্ধ্ব তিনজন এবং একশোর্ধ্ব দুইজন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৭৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪২ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৪ জন, খুলনা বিভাগে ৫২ জন, বরিশাল বিভাগে ছয়জন, সিলেট বিভাগে পাঁচজন, রংপুর বিভাগে ১৩ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৮ কোটি ৯৩ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪০ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৭ কোটি ২৮ লাখের বেশি।