হত্যা মামলার আসামি পলায়ন, ৫ পুলিশ প্রত্যাহার
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ ডিসেম্বর ২০২০, ১:০৮:০৪
সুনামগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে আদালতে আনা খুনের মামলার আসামি পলায়নের ঘটনায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পাঁচ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনাটি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কার অবহেলায় কীভাবে আসামি আদালত থেকে পালিয়েছে- বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত পুলিশ সুপার বরাবর তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হায়াতুন নবীকে প্রধান করে এবং ডিআইও আনোয়ার হোসেন মৃধা ও শহর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মাসুদ আহমেদকে সদস্য করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, কর্তব্যে অবহেলার জন্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ২ জন এটিএসআই ও তিন কনস্টেবলসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনাটি তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। তাদের দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, তদন্তে যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, জেলার দোয়ারা উপজেলায় ২০১৭ সালের ১৩ জুন স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামি নিহতের স্বামী ইকবাল হোসেনকে গত বুধবার বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা কারাগার আদালতে হাজির করার জন্য কোর্টে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সেখান থেকে কর্তব্যরত পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনের কোনো এক সময় আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যায় ইকবাল। সন্ধ্যার পর ঘটনাটি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। সন্ধ্যার পর আদালত থেকে অন্য আসামিদের ফিরিয়ে দেয়া হলেও ইকবাল হোসেনকে ফেরত দেয়া হয়নি। ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে জেল সুপার বিষয়টি পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন। পলায়নকৃত হত্যা মামলার আসামি ইকবাল হোসেন (৩৫) জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের উস্তেংগের গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হাজিরা দেয়ার আগে অথবা পরে কোনো একসময় ইকবাল হোসেন নামে ওই আসামি পালিয়ে গেছে। পুলিশ তাকে ধরার চেষ্টা করছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, জেলা পুলিশ সুপার ও জেল সুপার আদালতে হাজিরা দেয়ার সময় আসামি পলায়নের খবর তাকে জানিয়েছেন। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছেন।