উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেস
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা, রাস্তায় নামছে মেরিনবাহিনী
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ জুন ২০২৫, ৮:২৬:৩৯
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে স্থানীয় সময় সোমবার রাতেও (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল) পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের লিট্ল টোকিয়োতে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। সিএনএন জানিয়েছে, পুলিশকে লক্ষ্য করে আতশবাজির মতো কিছু বস্তু ছুড়ছিলেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেটও ছোড়ে পুলিশ।
ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ক্যালিফর্নিয়ার প্রশাসন। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছেন রাজ্যটির গভর্নর নিউসাম। তার অভিযোগ, কোনও রকম আলোচনা ছাড়়াই লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। ক্যালিফর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা জানিয়েছেন, নিউসামের সঙ্গে আলোচনা না করেই বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তের ফলে ট্রাম্প নিজের সীমা অতিক্রম করে গিয়েছেন বলে অভিযোগ তার। বন্টা বলেন, এখানে কোনও বিদ্রোহ নেই। প্রেসিডেন্ট তার নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থে এখানে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছেন।
এদিকে পরিস্থিতি সামলাতে আগেই ২০০০ ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এবার ক্যালিফর্নিয়ার ওই শহরে আরও ২০০০ ন্যাশনাল গার্ড পাঠাচ্ছেন তিনি। আমেরিকার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, সাময়িকভাবে মেরিনবাহিনীর প্রায় ৭০০ সদস্যকে লস অ্যাঞ্জেলেসে মোতায়েন করা হচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যেরা লস অ্যাঞ্জেলেসে না পৌঁছোচ্ছেন, ততক্ষণ মেরিনবাহিনীকে শহরে মোতায়েন রাখা হবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের বর্ডার জার টম হুমান শনিবারই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর নিউসাম হোন বা লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস, বা অন্য কেউ— যিনিই অভিবাসন সংস্থার কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন, তাকে গ্রেফতার করা হবে। সোমবার ট্রাম্পের মুখেও সেই হুঁশিয়ারিই শোনা গিয়েছে। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, আমি যদি টমের জায়গায় থাকতাম, আমিও তা-ই করতাম। আমার মনে হয়, এটাই ভাল। গাভিন প্রচারে থাকতে চান। আমার মনে হয় এটা ভালই হবে।
আমেরিকার অভিবাসন এবং শুল্ক দফতরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ লস অ্যাঞ্জেলেসের বাইরে অন্য শহরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। ক্যালিফর্নিয়া প্রদেশেরই দুই শহর সান ফ্রান্সিসকো এবং স্যান্টা আনাতেও বিক্ষিপ্ত কিছু বিক্ষোভ দেখা দিতে শুরু করেছে। বিক্ষোভ ছড়িয়েছে নিউ ইয়র্কেও। সোমবার নিউ ইয়র্কে অভিবাসন নীতি বিরোধী বিক্ষোভের জেরে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। তারা সরকারি অফিসের সামনে গাড়ি আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ। সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’ জানিয়েছে, জর্জিয়া প্রদেশের অ্যাটলান্টা, টেক্সাসের ডালাস এবং কেন্টাকি প্রদেশেও একই ধরনের বিক্ষোভ দেখা গেছে।