অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ
সাইফুজ্জামান শিখর ও তার স্ত্রীর নামে মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২:০১:৫২
বৈধ আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ তিন কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান (শিখর) ও তার স্ত্রী সিমা রহমানের নামে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ১১ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকায় মামলা করা হয়।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য শিখরের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে মামলা করে দুদক। এজাহারে বলা হয়, ‘সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ৭৯ লাখ ৬২ হাজার ৫২১ টাকার সম্পদ অর্জন করেন।’
জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক এই সহকারী একান্ত সচিবের বিরুদ্ধে নিজের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক ৭টি ব্যাংক হিসাবে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৮২ হাজার ৩১৫ টাকার সন্দেহজনক ও অস্বাভাবিক লেনদেন করেন। সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারা; মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫ (২) ধারায় মামলা করা হয়।
এছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাইফুজ্জামান শিখরের স্ত্রী সিমা রহমানের নামে আরেকটি মামলা করেছে সংস্থাটি। সিমা রহমানের নামে হওয়া মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ১৬ লাখ ১ হাজার ৩৩২ টাকার সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রাখেন সিমা।’
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন এবং তা ভোগদখলে রাখার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ সালের ৫ (২) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি করা হয়।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হন। তখন সরকারে অনেক মন্ত্রী-এমপির বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন এমন সন্দেহভাজনদের তালিকায় থাকা মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং তার স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।