হরিপুরের ৭ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪:২৫
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর সাত নম্বর গ্যাস কূপ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস যুক্ত করা হচ্ছে। এখন থেকে প্রতিদিন ৭-৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
সোমবার বিকেলের এসজিএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস যুক্ত করা হয়েছে। ১২শ’ মিটার খননের পর ৯০-৯৪ বিসিএফ ঘনফুট গ্যাস মজুদ পাওয়া গেছে।
এসজিএফএলের তথ্যমতে, গত জুলাই মাসে কূপের ওয়ার্কওভার (সংস্কার কাজ) শুরু করার পর ১৪ আগস্ট ৬-৭শ মিটার গভীরতায় যাওয়ার পর গ্যাসের ফ্লু-আউট করা হয়। পরবর্তীতে আবার এক হাজার ২শ মিটার গভীরতায় ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ফ্লু হয়। শুধু ৭ নম্বর কূপ নয়। এর আগে চলতি বছরের ২৪ মে খননকাজ শেষে সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাস ক্ষেত্রের ৮ নম্বর কূপে দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এছাড়া গত ২৭ জানুয়ারি সিলেট গ্যাস ফিল্ডের আওতাধীন রশিদপুরের ২ নম্বর কূপে গ্যাসের নতুন স্তরের সন্ধান পায় এসজিএফএল। এতে মজুদের পরিমাণ প্রায় ১৫৭ বিলিয়ন ঘনফুট।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের তথ্যমতে, উৎপাদনে থাকা সিলেটের কূপগুলো থেকে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে প্রায় ১০০ মিলিয়নের বেশি ঘনফুট গ্যাস। নতুন করে ৭ নম্বর কুপের গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সোমবার থেকে যুক্ত হওয়ায় এখন প্রতিদিন ১০৭-১০৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সাল থেকে ১০৯৪ সাল পর্যন্ত জৈন্তাপুরের হরিপুর সিলেট-৭ নম্বর কূপ থেকে তেল উত্তোলন করা হয়। পরে সেখান থেকে গ্যাসও পাওয়া যায়। গ্যাস উত্তোলনের পর আবার কূপটি বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি কূপটি সংস্কার কাজ শুরুর পর গ্যাসের সন্ধান পায় এসজিএফএল।