দেশবাসীর প্রকৃত ভালোবাসা অর্জন করতে চাই : ডা. শফিকুর রহমান
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৩:৪৯
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের ক্রেডিট কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। বরং এটি ছাত্র-জনতার অর্জন। বুকের তাজা রক্ত ঢেলে তারা দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে।
তিনি আরও বলেন, গত ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের মাধ্যমে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তা ৫ আগস্ট হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে সফল হয়েছে। এই পরিবর্তনকে স্থায়ী রূপ দিতে হলে সৎ লোকের শাসন ও আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুলস্থ কুশিয়ারা কনভেনশন হলে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা কাজের মাধ্যমে দেশবাসীর প্রকৃত ভালোবাসা অর্জন করতে চাই। সমাজে সংখ্যালঘু এবং সংখ্যাগুরু ভেদাভেদ দূর করতে চাই। এমন এক সমাজ গঠন করতে চাই, যেখানে মসজিদের মতো মন্দিরেও পাহারার প্রয়োজন হবে না। যদি কেউ আমাদের সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়, তাহলে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করতে হবে।
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, বাংলাদেশে একটি সাময়িক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু এটি স্থায়ী করতে হলে প্রয়োজন ইসলামের প্রকৃত নীতির ওপর ভিত্তি করে সৎ এবং যোগ্য নেতৃত্ব।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, দীর্ঘদিন পর ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশের জন্য আমরা কাজ করছি। হাজার শহীদের আত্মত্যাগের ফলে দেশে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ৫ আগস্টের আন্দোলন আমাদেরকে নতুন আশার আলো দেখিয়েছে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় সম্মেলনে বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমান, জেলা উত্তরের আমির হাফিজ আনওয়ার হোসাইন খান, জেলা দক্ষিণের আমির অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, ইস্ট লন্ডন মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আলিম হোসেন খান, সিলেট মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রব, ড. নুরুল ইসলাম বাবুল, জাহেদুর রহমান চৌধুরী এবং সাবেক ছাত্রশিবির নেতা সুলতান আহমদ।
সম্মেলনে একক ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী রাসেদুল হাসান রাসেল এবং সম্মিলিত কণ্ঠে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন সিলেট সাংস্কৃতিক সংসদের শিল্পীরা।