নিউ সুপারমার্কেটে আগুনের সূত্র শর্টসার্কিট
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ২:০৩:৫৬
রাজধানীর নিউ সুপারমার্কেটে আগুনের সূত্রপাত শর্টসার্কিট থেকে হতে পারে বলে ধারণা করছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) তদন্ত কমিটি। তাদের দাবি, মার্কেটটিতে নকশা না মেনে ভেন্টিলেশন বন্ধ করে কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) লাগানো হয়েছে। আর তৃতীয় তলায় এসির ওয়্যারিং যেসব দোকানে ছিল, সেখানে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বেশি। এতে মার্কেটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার ২৭০ দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এক দশক আগেও এ ভবনে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল। মার্কেটে আগুন ছড়ানোর ধরন, উপাদান বিবেচনা করে তদন্ত কমিটি এমন ধারণা করছে। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর আগুন লাগার কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
গত শনিবার ভোরে ঢাকার নিউ সুপারমার্কেটে আগুন লাগে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ২৮ ইউনিট কাজ করে। পরদিন রোববার অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে ডিএসসিসির অঞ্চল-১ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীনকে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। তদন্ত কমিটি গতকাল মঙ্গলবার মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির একাধিক সদস্য বলেন, এ মাসের শুরুর দিকে বঙ্গবাজারে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে রাজধানীর আরও কয়েক স্থানে আগুন লাগে। প্রতিটি ভবনের অবকাঠামো, ভবনের মালপত্র, আগুন ছড়াতে প্রভাবকের ভূমিকা– সবকিছুই মার্কেট অনুযায়ী ভিন্ন। তদন্ত কমিটি এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে উপস্থিত সবার বক্তব্য নিয়ে তদন্ত করছে।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা বলেন, সিটি করপোরেশনের মার্কেটগুলো নির্মাণের সময় নকশায় প্রচুর ভেন্টিলেশন এবং করিডোরে পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা রাখা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে মার্কেট কর্তৃপক্ষ এসব নকশার তোয়াক্কা না করে নিজেদের মতো দোকান বসিয়েছে। অভ্যন্তরীণ অবকাঠামোয় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ডিএসসিসির অঞ্চল-১ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন বলেন, তদন্ত কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে সিটি করপোরেশনের কাছে আরও সাত কার্যদিবস সময় চেয়েছি। তিনি বলেন, দোকান মালিক সমিতির কাছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করতে ফরম দেওয়া হয়েছে। আজকের (মঙ্গলবার) মধ্যে তাদের তালিকা জমা দেওয়ার সময় ছিল। তবে তারা পারেনি।